সবুজ ঘাসে খালি পায়ে উদাসমনে হাঁটছে রাইহা। কান্তারপুরের এই জমিদার বাড়িতে সে কিছুদিন আগ অবধি ভালো ছিল। কোথাও কোনো শূন্যতা ছিল না, কোথাও ছিল না নিজের অতীতের তিক্ততার দীর্ঘ ছায়া।
কিন্তু ইদানীং একটা অভাব নিঃশব্দে হৃদয়ের গভীরে আসন গেড়ে নিচ্ছে।
সেই অভাব... নিজের মানুষের অভাব!
জাওয়াদের অপেক্ষায় বড় বেগম নির্ঘুম রাত কাটান, বড় জমিদার লুকিয়ে চোখ মুছেন, ছোট জমিদার তার বেগমের জন্য ভাবেন, আর খামারবাড়ির শিশুদের সন্ধ্যা নামলেই মায়ের আদুরে শাসনে ঘরে ফেরার তাড়া থাকে। কিন্তু সে? তার ফেরার জন্য কেউ অপেক্ষা করে না, না ফেরারও কোনো শূন্যতা তৈরি হয় না।
এতো মানুষের ভিড়েও সে একা।
সে কারো হৃদয়ের মশাল নয়, কারো জীবনের রোদ নয়। এই শূন্যতা, এই অর্থহীনতা ক’দিন ধরে গলার কাছটায় অদৃশ্য কাঁটার মতো বিঁধে আছে। নিশ্বাস নিলেই সে কাঁটা আরও গভীরে ঢুকে যায়, যন্ত্রণা আরও প্রবল হয়ে ওঠে।
কখনো কখনো ইচ্ছে করে সব ফেলে ছুটে যেতে বাবা-মায়ের কাছে। জেদের বশেই হোক কিংবা প্রতিযোগিতার খেলায় হোক, কেউ অন্তত তাকে নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন হোক, একটু টানাটানি করুক!
কেউ অস্থির হয়ে অপেক্ষা করুক তার জন্য। সে হারিয়ে গেলে কেউ রাতভর নির্ঘুম থাকুক, সে ফিরে এলে কেউ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলুক। এই নিঃসঙ্গ অস্তিত্বের ভার আর বইতে পারছে না।
সে চায় ভালোবাসার দাবি নিয়ে কারও জীবনের অপরিহার্য অংশ হতে, চায় কোনো হৃদয়ের স্পন্দন হয়ে বেঁচে থাকতে!
এসব ভাবতে ভাবতে সামনে হাঁটছিল, তখনই পেছন থেকে এক ঝাঁক শিশুর প্রাণখোলা ডাক ভেসে আসে, “আপা! আপা!”
চমকে ফিরে তাকায় রাইহা। খামার বাড়ির ছেলেমেয়েরা দৌড়ে আসছে উচ্ছ্বাসে ভরা মুখ নিয়ে। কারও হাতে আধভাঙা লাট্টু, কারও হাতে কাঁঠালের বিচি দিয়ে বানানো গুটি।
“আপা, আইয়েন! নতুন খেলা শিখছি, আইয়েন!”
রাইহা কিছু বলার আগেই দুটো ছোট মেয়ে খিলখিল হাসতে হাসতে তার হাত ধরে টেনে নিয়ে চলল মাঠের দিকে।
রাইহার খালি পা ধুলো মেখে যাচ্ছে, নরম ঘাসের শীতল পরশ ছুঁয়ে যাচ্ছে পায়ের তলদেশ। ঠিক তখনই…উষ্ণ, আর্দ্র, চটচটে একটা অদ্ভুত স্পর্শ!
সঙ্গে সঙ্গে চোখ নামিয়ে তাকাতেই বিস্ফারিত হলো দৃষ্টি। বুঝে ওঠার আগেই পা পিছলে ধপাস করে বসে পড়ল মাটিতে!
গোবর!
শরীর শিউরে উঠল রাইহার, “ছি! এখানে গোবর কোথা থেকে এলো?”
ঘৃণায় কপাল কুঁচকে গেল, নাক সিঁটকে উঠল, মুখ বিকৃত হয়ে গেল। ডান পা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে চিৎকার করে বলল, “পানি...পানি আনো!”
বমি বমি ভাব চেপে ধরছে, গলা শুকিয়ে আসছে, কণ্ঠ আটকে যাচ্ছে ঘেন্নায়।
শিশুরা আকস্মিক ঘটনায় স্তব্ধ। কয়েক মুহূর্ত তারা নিঃশব্দে রাইহার অসহায় চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকল। তারপর…ফেটে পড়ল হাসির বন্যায়!
কারও মাথা কারও কাঁধে হেলে পড়ছে, কেউ পেট চেপে ধরে কেঁপে কেঁপে হাসছে, কেউ আবার হেসে গড়িয়ে পড়ছে সবুজ তৃণভূমির বুকে!
আসাদ তখনো খামারবাড়িতেই ছিল। রাইহার বিব্রত অবস্থা দেখে দ্রুত পায়ে এগিয়ে এল হাতে এক কলস ঠান্ডা পানি নিয়ে।
বিলেত ফেরত অভিজাত কন্যা, এদের কাছে গোবরের গন্ধ হয়তো অসহ্য, অশুচি! সে ধীর ভঙ্গিতে রাইহার গোবর মাখা পায়ের ওপর পানি ঢালল কিছুক্ষণ। তারপরও যখন কিছুটা থেকে গেল, তখন নির্দ্বিধায় হাত বাড়িয়ে সাবধানে তা পরিষ্কার করে দিল।
হাতের স্পর্শে ধীরে ধীরে থিতিয়ে এল রাইহার অস্বস্তি। সে চোখ তুলে চাইল আসাদের দিকে। কপালের মাঝখান দিয়ে বিভক্ত চুল, খানিকটা বোকাসোকা চেহারার লম্বাটে ছেলেটাকে সে আগেও দেখেছে। কোহিনূর বেগমের সঙ্গেই তো ঘোরে।
যখন নিশ্চিত হলো, পায়ের কোথাও একটুও গোবরের ছাপ নেই, তখন প্রায় ফিসফিস করে বলল, “ধন্যবাদ।”
আসাদ শুধু মাথা ঝাঁকাল। না হাসল, না কোনো শব্দ করল। নির্বিকার ভঙ্গিতে কলসটা তুলে নিয়ে ফিরে গেল আগের পথে।
কলপাড়ে কলস নামিয়ে ফিরতে না ফিরতেই সিদ্দিক এসে জানাল, “আসাদ, তোমার বাপ-মা আইছে। জলদি যাও।”
আসাদ এক মুহূর্তের জন্যও দেরি না করে দ্রুত পা বাড়াল। সিঁড়ি ভেঙে খাসমহলের দ্বিতীয় তলায় উঠে গেল। বারান্দার মখমলি গদিতে বসে আছেন কোহিনূর। সামনে জলচৌকির ওপর মাথা নত করে বসে আছে গুলনূর। পাশেই দাঁড়িয়ে মকবুল এবং তার স্ত্রীর সুবোধ মূর্তি আছিয়া।
আসাদ চুপচাপ আড়ালে দাঁড়িয়ে রইল। কোহিনূর বেগম বলছিলেন, “মেয়ে গুণবতী। সেলাই জানে, রান্নার হাত চমৎকার, ঘরদোর গোছাতে ওস্তাদ। বোবা বলে কোনো ত্রুটি নেই। সংসার সামলাতে মুখের কথা লাগে না, হাতে কাজ জানলেই চলে। আমি আসাদের জন্য একদম ঠিক পাত্রীই বেছে নিয়েছি। তুমি ভালো করে দেখে নাও মকবুল।”
মকবুল আর সুজনা গুলনূরের দিকে তাকাল। মেয়েটির মুখখানা মায়াময়, গায়ের রঙ উজ্জ্বল, শরীরে খানিক মাংসের ভার, দেখতে বেশ ভালো। আসাদের পাশে যথাযথই মানাবে।
তবুও মেয়ে বোবা ভাবনা মনে উঠতেই, মকবুলের গলায় কিছু একটা দলা পাকিয়ে উঠল। কিন্তু মুখ খুলে কিছু বলতে পারল না। কোহিনূরের কথা নিয়ে কোনো মন্তব্য করার সাহস তার নেই। যে মহিয়সীর দয়ায় বেঁচে আছে, তার সিদ্ধান্তের বিপরীতে কিছু বলাও তো এক ধরণের পাপ।
বাধ্যগত স্বরে মকবুল বলল, “আপনি যখন ঠিক করছেন, তখন আমাদের বলার কিছুই থাকতে পারে না বেগম সাহেবা। যা বলবেন, তাই হবে।”
কোহিনূর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বললেন, “আলহামদুলিল্লাহ! তাহলে এই শুক্রবারেই চার হাত এক করব।”
গুলনূর তখনও মাটির দিকে তাকিয়ে, আসাদও চেয়ে ছিল আকাশের দিকে। তারা দুজন যেন নিষ্প্রাণ পুতুল, যেভাবে সাজানো হবে, সেভাবেই দাঁড়াবে, সেভাবেই নাচবে।
প্রতিদিনের মতো আজও এক গ্লাস উষ্ণ দুধে দারুচিনি আর এলাচ মিশিয়ে এনেছে ফজিলা। আগে এই কাজটি করত গুলনূর, এখন সেই দায়িত্ব তার কাঁধে। ললিতার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সে গলা খাঁকারি দিল।
ললিতা চোখের কোণে তাকিয়ে বললেন, “রেখে চলে যা!”
তার কণ্ঠস্বরে স্পষ্ট অস্থিরতা। তড়িঘড়ি আলমারির দরজা খুলে কী যেন খুঁজতে লাগলেন। ফজিলা চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল, কৌতূহলী দৃষ্টিতে ললিতার তৎপরতা লক্ষ করল।
ললিতা এবার দৃষ্টি তুললেন। চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে রুক্ষ স্বরে বললেন,
“সঙের মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কী বললাম, শুনিসনি?”
ফজিলা দ্রুত কুর্নিশ করে বেরিয়ে গেল। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে হঠাৎ মনে পড়ে গেল, গুলনূরের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে!
ললিতা বেগম বলেছিলেন, “বুড়ি যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবি।”
অথচ এখনও বেগম কিছুই জানেন না!
চিন্তাটা মাথায় আসতেই দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে সে আবার ফিরে এলো ললিতার ঘরের দিকে। ফিরে এসে দেখল, ললিতা এক হাতে হারিকেন উঁচিয়ে কোথাও যাচ্ছেন। তার চোখ সতর্ক, চারপাশের পরিস্থিতি বুঝে বুঝে এগোচ্ছেন রান্নাঘরের দিকে।
ফজিলার মনে কৌতূহল জাগল। এই সময় তিনি কোথায় যাচ্ছেন? নিঃশব্দে পিছু নিল সে।
রান্নাঘরের পাশের ছোট ঘরটি সবসময় বন্ধ থাকে। ললিতা সোজা সেদিকে এগিয়ে গেলেন। ফজিলা নিঃশ্বাস আটকে দেখল, ললিতা দেয়ালের প্যানেল সরিয়ে কোথাও ঢুকছেন! সে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেও পিছু নেওয়ার সাহস হলো না। অস্থির আগ্রহে শুধু স্থির দাঁড়িয়ে রইল, কানে শোনার চেষ্টা করল কোনো শব্দ আসে কি না।
সুরঙ্গের ভিতর ক্ষীণ আলোর দপদপে ছটায় আচমকাই ঝলসে উঠল একজোড়া শ্যামল চোখ। দেয়ালের আর্দ্রতা, মাটির গন্ধ আর ভেজা শ্যাওলার শীতলতার মাঝেও সে দৃষ্টিতে ছিল বিদ্রূপের ছায়া।
ললিতা ধীর পায়ে এগিয়ে এল। শাড়ির আঁচল টেনে ধরেছে আঙুল, শিরদাঁড়া সোজা রাখতে চেষ্টা করলেও স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে, অভ্যন্তরের দোলাচলে টলে উঠছে তার আত্মবিশ্বাস।
তান্ত্রিক মৃদু হাসল। বলল, “আজ বড় তাড়াহুড়ো দেখছি বেগম সাহেবা। সাধনার শক্তি কি তবে নিষ্ফল মনে হচ্ছে?”
ললিতা একটুও দেরি না করে সোজাসাপ্টা বললেন, “আমি আর কিছু চাই না। এখানে আপনার সঙ্গে এটাই শেষ দেখা।”
তান্ত্রিক ধীরে মাথা দুলিয়ে বলল, “শেষ? এতো সহজে শেষ হয় না, বেগম। আপনার ইতিহাস তো শুধু আপনার নয়, আরো কারো সঙ্গে জড়িয়ে আছে।”
ললিতার দৃষ্টি এক মুহূর্তের জন্য জ্বলে উঠল। তিনি দ্রুত নিজেকে সামলে হাতের থলেটা তান্ত্রিকের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে হিমশীতল গলায় বললেন, “অতীতের কথা টেনে আনবেন না। যা নেয়ার তা নিয়ে দেখাসাক্ষাৎ বন্ধ করুন!”
তান্ত্রিক থলেটা খুলে সোনার গয়নাগুলো আঙুলের মাঝে ঘুরিয়ে দেখতে লাগল।
তারপর ধীর কণ্ঠে বলল, “আপনি চাইলেই কি সব শেষ হয়ে যাবে? যে পাপ আপনার শরীরে, যে পাপ এই জমিদারিতে তার কি সহজে মুক্তি আছে?”
ললিতার চোখের তারা কেঁপে উঠল অজানা ভয় আর তীব্র বিদ্বেষে, “যা বলার স্পষ্ট বলুন। ইঙ্গিত দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না।”
তান্ত্রিক দুই কদম সামনে এগিয়ে এলে ললিতা পিছিয়ে গেলেন।
তান্ত্রিক সাপের মতো ফিসফিস করে বলল, “আপনার রাজত্ব, ঐশ্বর্য তো পাপের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আপনি জানেন, যদি আমি চাই, তাহলে একটা কথাই যথেষ্ট...”
ললিতার কণ্ঠে এবার কাঁপুনি দেখা দিলেও তিনি নিজের শক্তিকে ধরে রাখলেন। চোয়াল শক্ত করে বললেন,
“কোনো কিছুই প্রমাণ করা যাবে না।”
“প্রমাণের কী দরকার, বেগম? ফিসফাসই যথেষ্ট। মানুষের কানে যদি একটুখানি সন্দেহের কথা পৌঁছে দিই, তাহলে এই রাজপ্রাসাদের দেয়ালেও ফাটল ধরবে।”
ললিতা এবার ক্ষুব্ধস্বরে বললেন, “কী চান আপনি? সরাসরি বলুন!”
তান্ত্রিক আরেকবার সেই বিষাক্ত হাসি হাসল। বলল, “যে জিনিস জমিদার সাহেব তার সিন্দুকে লুকিয়ে রেখেছেন, তা আমার চাই।”
ললিতার মুখে বিদ্যুৎ খেলে গেল। “আপনি কী করে জানলেন?”
তান্ত্রিক এবার প্রথমবারের মতো গম্ভীর হলো। বলল, “আমি জানি অনেক কিছুই, বেগম। আপনি যে আসলে কতটা অসহায়, তাও জানি।”
ললিতার হাত কেঁপে উঠল। শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেল হিমেল স্রোতের ধারা। নিজের অজান্তেই আঙুলের ফাঁকে আঁচল মোচড়াতে লাগলেন। ফ্যাসফ্যাসে কণ্ঠে বললেন, “ও আমি পারব না…”
তান্ত্রিক ধীরে ধীরে একপাশে মাথা কাত করে হেসে বলল, “পারতেই হবে, বেগম। নাহলে শুধু আপনি নন, আপনার অস্তিত্বটাও বিলীন হয়ে যাবে এই জমিদারবাড়ি থেকে। আপনার রক্ত, যে আপনাকে মা বলে ডাকে, সেও মুখ ফিরিয়ে নেবে! আপনাকে দেখে থুথু ফেলবে, আপনার ছায়াও মাড়াতে চাইবে না!”
এক মুহূর্ত নিঃশব্দতা। চারপাশের অন্ধকার ঘনিয়ে এলো আরও বেশি। কোথাও থেকে ভেসে এলো সাপের হিসহিসে ফিসফিস! নাকি এ শুধু বিভ্রম? অবশ্য সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষটাই সাপ, মানুষরূপী এক বিষধর সাপ!
ললিতা নিঃশ্বাস বন্ধ করে এক মুহূর্ত পাথরের মতো স্থির দাঁড়িয়ে রইলেন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “আমি ভাববার সময় চাই।”
তান্ত্রিক ঠোঁটের কোণে বিদ্রূপাত্মক হাসি টেনে বলল, “ভাবুন, বেগম। তবে বেশি সময় নিলে চলবে না। সময়ের চোখ গোপন কিছু রাখে না, সব ফাঁস করে দেয়।”
ললিতা কোনো উত্তর দিলেন না। নিঃশব্দে, ছায়ার মতো চলে গেলেন সুরঙ্গের অন্ধকারে। তার দু’চোখ টলমল করছে। জল গড়িয়ে পড়ার আগেই তিনি চোখ বন্ধ করে প্রাণভরে শ্বাস নিলেন।
ঠিক তখনই!
ডান দিকে ছায়ার মতো ছুটে গেল কেউ! এক ঝলক সাদা কাপড়ের আভাস মাত্র; ক্ষীণ, অথচ বিদ্যুতের মতো দ্রুত!
ললিতার রক্ত মুহূর্তেই যেন জমে গেল।
কে ছিল ওটা?
কতটুকু দেখেছে?
কতটুকু শুনেছে?
জমে থাকা নিস্তব্ধতা ভেঙে ললিতা কাঁপা হাতে হারিকেন উঁচিয়ে ধরলেন, সোনালি আলো আঁধারের বুক চিরে ছড়িয়ে পড়ল। ফ্যাসফ্যাসে, শ্বাসরুদ্ধ কণ্ঠে বললেন, “কে? কে ওখানে?”
.
.
.
চলবে.........................................................................