কামিনী - পর্ব ১৩ - মম সাহা - ধারাবাহিক গল্প


কক্ষ জুড়ে নিপাট নিরবতা ভেদ করে রানি ইথুনের মন্ত্রমুগ্ধকর হাসি সুরেরও গুঞ্জন তুলেছে। হাসছে সে অনবরত। মিষ্টি, সুন্দর হাসি তার। পুষ্পের বুকে এসে বসা প্রথমও বসন্তের ভোমরার মতন সেই হাসি প্রেম জাগাবে যে কারো হৃদয়ে। বারে বারে, শতবার। 
 রানি কামিনী এই হাস্যরসে ভরা নারীটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। রূপ যেন সাপের মণির মতন ফণা তুলে আছে। বসন্ত যে মুখরিত নারীটির অঙ্গে। এই ধরায় এমন বারে বারে ফিরে তাকাবার মতন রূপ সকলে পায় না। রানি ইথুন পেয়েছে। এত সুন্দর মুখশ্রী রানি কামিনী খুব কমই দেখেছেন। থুতনিতে কী গাঢ় ভাঁজ ইথুনের! তবে, রানি কামিনীকাঞ্চনের রূপের কাছেও এই রূপ কিছুটা কম নাম্বারে হেরে গিয়েছে। 

 "হাসছেন যে?" 
রানি ইথুন তখনও রানির হাতটি ধরে আছেন। রানি কামিনীর প্রশ্নে তার তুমুল হাসি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এনে বলল, "রাজা বিবাহিত কথাটি আপনি এত আশ্চর্যের সাথে বললেন, হাসবো না?"

 রানি কামিনীর চোখে তখনও ফুরিয়ে আসা বিস্ময়ের কিছুটা ছোঁয়া অবশিষ্ট। তিনি তবুও সামলে উঠলেন নিজেকে। কণ্ঠে কিছুটা জোর প্রয়োগ করে বললেন, 
"রাজা সম্পর্কিত কিছুই তো আমার জানা নেই, তাই তিনি বিবাহিত না অবিবাহিত তা-ও জানি না।"

 "কেন জানা নেই শুনি? এত সুন্দর, সুপুরুষ রাজা আমার। তার ব্যাপারে জানা নেই আপনার!"

"সুন্দর হতে পারে, সুপুরুষ হোক তা তো আপনার কাছে। আমার কাছে সে কেবল একজন পুরুষ ব্যতীত কিছুই নয়।"

 "রানির রূপের গর্ব অনেক! তা বেশ ভালো তো!"

 "রূপের গর্ব নয়, চরিত্রের গর্ব। আমি জানি আমি কী।"

এবার রানি ইথুন আর আর কথা বাড়ালেন না এই বিষয়ে। কেবল হাসলেন। 
 কথার মোড় ঘুরিয়ে বললেন, "আপনি বিশ্রাম নিন, রানি কামিনীকাঞ্চন। আমি আবার আসবো। আপনার সাথে গল্প করা বাকি।"

রানি কামিনী মাথা নাড়ালেন। রানি ইথুন যেমন সশব্দে প্রবেশ করেছিল তেমন সশব্দেই তার প্রস্থান ঘটালো। 
 এরপর কক্ষজুড়ে নিগাঢ় নিরবতা। রানি এগিয়ে গেলেন জানালাটির সামনে। বিশাল সাদা জানালা। কোনো শিক নেই, বাঁধন নেই জানালাটির। মুক্ত জানালা। তাকালেই বাহিরের দৃশ্যটি খুব অকপটে, তৈলচিত্রের মতন ভেসে উঠছে। প্রকৃতিতে যেন কবির মুগ্ধতা বিরাজমান। 
রানি সুদূরে তাকিয়ে রইলেন বহুক্ষণ। মনে মনে হাসলেন বৈকি। পুরুষদের ছলচাতুরী নতুন কিছু যে নয় তবে অবাক হলেন কেন নিজে এতটা? তবে কি সমগ্র পুরুষ জাতির উপর থাকা রানির ক্ষোভের বাহিরেই পড়ে গিয়েছিল রাজা হ্যাভেন? 
 কে জানে, নারী চিত্তে কী এক রহস্য! 

 ১৬....

 বিরাট প্রাসাদটির ভেতর বহু মানুষ রয়েছে। প্রহরী হতে শুরু করে দাস-দাসী, আত্মীয় হতে শুরু করে স্বজন, কিছুরই যেন অভাব নেই হ্যাভেনের। সবসময় একটা জমজমাট ভাব যেন! অপরদিকে রানি কামিনীর মহল জুড়ে কেবল একাকীত্ব এবং নীরবতা।
 তখন অপরাহ্নের শেষ ভাগ। মহলের একদিক থেকে শোনা যাচ্ছে প্রচণ্ড শোরগোল। হৈচৈ হচ্ছে ভাবনাতীত। রানি বিশ্রাম থেকে উঠেই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। নিজের আশেপাশে যামিনী ও দাসী ফ্রেয়াকেও খুঁজছিলেন আপন মনে। শোরগোল শুনে এগিয়ে গেলেন হৈচৈ ভেসে আসা দিকটায়।

ঘর ভর্তি দাসদাসী ভরা। সাথে রাজকীয় পোশাকের মহিলাগণ। রানির নূপুর জোড়ার ঝঙ্কারে ভাঁটা পড়ল হৈচৈ-এ। সকলেই ঘুরে তাকাল দরজাটির দিকে। রানি দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে। কমলা রঙেন অত্যাধিক সুন্দর বস্ত্রে তাকে সৌন্দর্যের দেবী লাগছে। কী জৌলুশ তার রূপে! অলংকার ছিটকেও বেরিয়ে আসছে সৌন্দর্যতা। অদ্ভুত সুন্দর অলংকার গুলো। এমন দেখা যায় না সচারাচর। 
 রানি কামিনীকে দেখেই যামিনী ও ফ্রেয়া এগিয়ে গেলো। ফ্রেয়া তো তড়িঘড়ি করে বলল, "কিছু দরকার আপনার, রানি? মর্জনা করবেন আপনার এতটা হেঁটে আসতে হলো।"

রানি দাঁড়িয়ে রইলেন এক ভাবেই। কণ্ঠ গম্ভীর, "এখানে কী করছো?"

 যামিনী রানির হাতটা টেনে ধরল। বেশ আনন্দিত মনে বলল, "চৰো সখী, এখানে খেলা হচ্ছে। সকলে গান করছে।"

রানি ইথুন দূর থেকে হাসিমুখে বলল, "আসুন, রানি কামিনী। আমাদের সাথে উপভোগ করুন সন্ধ্যেটি।"

রানি এলেন না দূর থেকে প্রত্যেকের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। এখানে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা রানি, রাজকুমারীদেরও দেখা যাচ্ছে। 
 অতঃপর তিনি ইথুনের প্রস্তাব নাকচ করলেন, "আমার বিশেষ টান নেই নারীদের এসবে। আপনারা উপভোগ করুন।"

"তাহলে রানির কীসবে টান আমরাও শুনি।" কক্ষটির মধ্যখান থেকে ভেসে এলো নারী কণ্ঠ। বাক্যটিতে সাময়িক তাচ্ছিল্যের আভাসও গাঢ় ভাবেই লাল রানির কানে। তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় এতটাই প্রখর যে অনায়াসে বুঝতে পারেন এই সামান্য বিষয় গুলো।

 রানি কথা বলা নারীটির দিকে তাকালেন। বেশ অল্পবয়সী মেয়ে। সবে উনিশ-কুড়ি হবে বয়স। ঠোঁটে অহংকারী হাসি। চিকনচাকন, ধবধবে ফর্সা গড়নের মেয়েটি। খুব সম্ভবত হ্যাভেনের আত্মীয়ই হবে বলে রানি ধারণা করলেন। এবং তার ধারণা সঠিক হলো। কক্ষের ভেতর হ্যাভেনের মা প্রাচী যখন ধমক দিলেন তখন। ভদ্রমহিলা কিছুটা গম্ভীর কণ্ঠে মেয়েটিকে বললেন, 
 "লিলি, মুখটি বন্ধ রাখো।"

লিলি মায়ের ধমকে তেমন ভীত হলো না। তোয়াক্কাও করল না। রানি উপস্থিত নারীদের তাকিয়ে অতঃপর লিলিকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
 "আমার টান পুরুষদের মতন দাবা খেলায়। ঘোড়া দৌঁড় কিংবা তীর নিক্ষেপে। ডিয়ার লিলি, তুমি আমাকে সেটার গন্তব্য যদি জানাও তবে উপকৃত হতাম।"

এবার কেবল লিলি নয়, সকলেই অবাক হলো। ইথুন বেশ প্রশংসা করে বলল,
 "আপনি সেসব উপভোগ করতে চান?"

"অবশ্যই।"

এবার ইথুন উঠে এলো। পেছন থেকে একজন পঞ্চাশোর্ধ প্রৌঢ় মহিলা বললেন, 
 "ইথুন, রানিকে রাজাদের ওখানে নিয়ে যাচ্ছ? এটা শোভনীয় নয়।"

ইথুন জবাব দেওয়ার আগেই জবাব দিলেন রানি কামিনী, "কেন শোভনীয় নয়?"
 রানির প্রশ্নে বৃদ্ধা বড়োই বিরক্ত হলেন। চোখ-মুখ কুঁচকে বললেন, "পুরুষ মানুষের সাথে সবকিছুতে নারীকে মানায় না।"

 "সবসময় সবকিছু মানাতে কেন হবে?"
মহিলা জবাব দিলেন না। মুখ অন্ধকার করে বসে রইলেন। যামিনী আবার কথার ফাঁকে ফোড়ন কেটে বলল, "আমার সখী কেবল দেখে উপভোগ করে তা নয়, সখী এগুলোতে বেশ পারদর্শী।"

"তাই নাকি? তাহলে আজ নাহয় আমরা দেখবো, রানি কামিনী কতটুকু পুরুষের সমকক্ষ হতে পারেন।" আবারও লিলির হেলায় ভরা বাক্য। রানি সেই হেলাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে বললেন,
"নারী কখনোই পুরুষের সমকক্ষ নয়। নারী সবসময় পুরুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং অনন্য। এবং এই বাক্যটি আগে নারীকে বিশ্বাস করতে হবে তারপর বিশ্বাস করবে রাষ্ট্র এবং পৃথিবী। তা চলো, একটু নাহয় তোমার মনস্কামনা পূর্ণ করলাম। রানি কামিনীকাঞ্চন কারো মনস্কামনা অপূর্ণ রাখে না। সামান্য দাসীরই রাখে না, সেখানে তুমি তো রাজা হ্যাভেনের ভগিনী।"

রানির ক্রুর কথায় অপমানে গা রি রি করে উঠল লিলির। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠল তার চিত্ত। বলল, 
 "ঠিক আছে, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হবে। আমার ভ্রাতা- রাজা হ্যাভেনকে আজ অব্দি কেউ সেই প্রতিযোগিতায় হারাতে পারেনি। আপনিও পারবেন না। এবং আপনি যদি এখানে হেরে যান তবে আপনাকে মেনে নিতে হবে আপনার করা নারীকে নিয়ে এই গর্ব মিথ্যা। এবং মাথা নত করে আমার ভাইয়ের চরণের জুতো নিয়ে আপনাকে ফিরতে হবে রাজ্যে।" 

 লিলির এই অদম্য দুঃসাহসিকতায় রানি স্থির রইলেও খ্যাপে উঠল যামিনী। ইথুন থেকে রাজমাতা প্রাচী অব্দি লিলির উপর রেগে গেলো। তবে বৃদ্ধা সেই মহিলাসহ অন্যান্য রাজ্যের উপস্থিত থাকা রানি ও রাজকন্যারা সম্মতি জানাল এই প্রস্তাবে। ওরা ভেতর ভেতর একটা আনন্দও বোধ করল। রানি কামিনীর মুখের উপর কথা বলার মতন কেউ আছে এবং এমন অপমানসূচক কথা বলেছে বলেই তাদের যেন ভেতর ভেতর আনন্দের সীমা রইল না। 
তবে রানি চোটপাট করলেন না। বেশ অকপটে বললেন, 
 "ঠিক আছে তবে আমারও শর্ত আছে। একপক্ষের শর্তে কখনো খেলা জমে না।"

লিলি সগর্বে বলল, "হ্যাঁ বলুন। আপনার সব শর্তই শিরোধার্য।"

রানি কামিনী হাসতে হাসতে বললেন, "আমাকে এত বড়ো কথা বলে অপমান করার আস্পর্ধা এই পৃথিবীর কারো নেই। আমি সঙ্গে সঙ্গেই তার মুন্ডুপাত করি। কিন্তু তুমি যেহেতু শর্ত দিয়েছ তাই আমি অবশ্যই আগে প্রতিযোগিতায় নামবো। এবং জয়লাভ করলে জনসম্মুখে তোমার মুন্ডুপাত করবো। রানি কামিনীকে অপমান করার ভুল করেছ তুমি, ডিয়ার লিলি। অন্যায় করেছ।"

 রানির শর্তে এবার কেঁপে উঠলেন সকলে। তবে লিলির অল্প বয়সে তখন কেবল প্রতিহিংসা জ্বলছে। সে মেনেও নিল শর্তটি। রাজমাতা, রানি ইথুন সকলে নিষেধ করল কিন্তু লিলি মানল না। সে গটগট পায়ে বেরিয়ে গেলো রাজাদের ওখানে যাওয়ায় জন্য। প্রতিযোগিতার কথা বলতে। তার পেছন পেছন গেলো সকলে। 
 রানির মুখে তখন ভয়ঙ্কর হাসি। যে হাসি মৃত্যু ডাকে প্রকাশ্যে।

 ১৭....

রাজ্য জুড়ে ব্যাপক উন্মাদনা ছড়িয়ে গেলো। দুই রাজ্যের রাজা ও রানির ভেতর হবে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। রাজায় রাজায় প্রতিযোগিতা হয়, রানি রানিতে প্রতিযোগিতা হয়, কিন্তু এই প্রথম একজন ছেলে ও একজন মেয়ের মাঝে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এর আগে এমন অতি আশ্চর্যজনক ঘটনা কস্মিনকালেও ঘটেছে বলে কারো জানা নেই। সকলের ভেতর এক অগাধ উৎকণ্ঠা। সেই উৎকণ্ঠা নিয়ে সকলে অপেক্ষা করছে কাঙ্ক্ষিত সময়টির। 

 রাজা হ্যাভেন বোনের এমন দুঃসাহসিকতার কথা জানার পর বোনের প্রতি বেজায় রেগে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। কারণ ততক্ষণে তীর গন্তব্য অনুযায়ী ছোটা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন আর পিছু পা করলে চলবে না। 

মাঠ জুড়ে প্রজাদের হৈচৈ। অনেকটা পথের দৌড় হবে। এই রাজ্যের শেষ মাথায় একটি সমুদ্র আছে। সেখানে গিয়ে থামবে প্রতিযোগিতা। টানা তিনদিন লাগে সেখানটায় যেতে। সাথে অজানা কত জঙ্গল এবং বিপদ থাকতে পারে। এতশত বাঁধা বিপত্তি থাকার পরেও রানির চিত্তে ভয় নেই। কোনো চিন্তা নেই তার মুখ জুড়ে। ঠোঁটে তার চিরায়ত হাসিটি বিদ্যমান। 
যামিনী কিছুটা উৎকণ্ঠা দেখালো। বলল, "সখী, বড়ো চিন্তা হচ্ছে।"
ফ্রেয়াও কাঁদো কাঁদো মুখ করে রাখল। এবং শেষ অব্দি কেবল বলল, "অপেক্ষা করব আপনার, রানি।"

 অথচ সেনাপতি হ্যাব্রো রানির রাজঘোড়াকে তৈরি করে দিলেন। রানিকে তৈরি করালেন রাজ বেশে। একমাত্র রানির পর এই একটি মুখে কোনো উদ্বেগ নেই। এটা শিরোধার্য যেন রানি জিতবেই। 

অপরদিকে ঘোড়া দৌড়ে বরাবর বিজয়ী হওয়া হ্যাভেনের ভেতর ভয় ঢুকে গিয়েছে। সে রানিকে যতটুকু জানে রানি কথার খেলাপ করেন না। আর যদি জিতে যায় তবে বোনটির প্রাণ যাবে। 
 সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে হ্যাভেন ছলের আশ্রয় নিলো। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কিছু মুহূর্ত পূর্বে সে গেল রানির কাছে। রানি তখন প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছেন প্রায়।

হ্যাভেন যেতেই সকলে কিছুটা দূরত্বে চলে গেলো হ্যাভেনের ইচ্ছেতেই। রানির মুখের স্থায়ী হাসি তখন প্রসস্থ, "শুভকামনা, রাজা হ্যাভেন।"

 হ্যাভেনের চোখ-মুখ তখনও অন্ধকার। সে গম্ভীর কণ্ঠে বলল, "আমি আপনাকে শুভকামনা দিতে পারছি না। এখানে আমার বোনের প্রাণ জড়িত।"

হ্যাভেনের জবাবে হাসলেন রানি। বড্ড অবহেলা করে বললেন, "আপনার মনে হয় আদৌ যে, আমার আপনার শুভকামনার প্রয়োজন?"

 "না। আপনার আমার কিছুর প্রয়োজন নয়, তবে আমার একটা জিনিস প্রয়োজন আপনার নিকট থেকে।"
হ্যাভেনের এহেন খোলামেলা আবদারে রানি কিছুটা তো ভড়কে গেলেনই। শুধালেন, "কী দরকার?"

 "মনে আছে এক প্রভাতে আপনার রাজ ঘোড়াটি আমাকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন? আমি বলেছিলাম সময় হলে আমি নিবো। আজ আমি আপনার রাজ ঘোড়াটি চাচ্ছি। এখন, এই মুহূর্তে।"

রানি বেশ চমকে বললেন, "কিন্তু রাজ ঘোড়া দিলে আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কীভাবে করবো?"

 "আমাদের এখানের ঘোড়াশাল থেকে যেকোনো একটি ঘোড়া নিয়ে করবেন।"
রাজার কথায় স্তম্ভিত রানি। কূটনৈতিক চালে রানি কামিনীকে মাত দেওয়ার এই কঠিন চেষ্টা করা রাজার দিকে রানি তীক্ষ্ণ চোখে চাইলেন। রাজা বেশ ভালো করেই জানতেন রাজ ঘোড়াটি রানির কাছে কতটা প্রিয়। এবং কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক মুহূর্তে রাজ ঘোড়াটি কেড়ে নিয়ে রানিকে প্রিয় জন্তু হারানোর ব্যথা এবং প্রতিযোগিতায় হারানোর সুন্দর পরিকল্পনাটি করে ফেলেছেন।
.
.
.
চলবে.........................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp