কোনো সাড়া নেই৷ নিস্তব্ধতা আরও গাঢ় হয়ে আসে। ললিতা এলোমেলো দৃষ্টিতে চারপাশ দেখলেন। এদিক-ওদিক তন্নতন্ন করে কাউকে খুঁজলেন, চারপাশ নিস্তব্ধ, শূন্য। অথচ একটু আগেই কেউ ছুটে গেল। নাকি আতঙ্কে দৃষ্টিভ্রম হয়েছিল?
তীব্র আতঙ্ক নিয়ে সামনে পা বাড়ানোর মুহূর্তে হঠাৎ তান্ত্রিকের কথাগুলো কানে বাজল, “আপনার রক্ত, যে আপনাকে মা বলে ডাকে, সেও মুখ ফিরিয়ে নেবে! আপনাকে দেখে থুথু ফেলবে, আপনার ছায়াও মাড়াতে চাইবে না!”
গা শিউরে উঠল ললিতার। বুকের ভেতর ধুকপুক শব্দ এত প্রবল হয়ে উঠল যে মনে হলো সুরঙ্গের দেয়ালেও তার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়ছে।
যদি জাওয়াদ সব জেনে যায়?
যদি ঘৃণা করে?
যদি চিরতরে চলে যায়?
পা হঠাৎ থমকে গেল।
চলে যাওয়া…
জাওয়াদ তো আগেই চলে গেছে!
কিন্তু কেন?
কেন ও চলে গিয়েছিল?
নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে, যখন শেষবার কান্তারপুরে এসেছিল, কত প্রাণোচ্ছল ছিল! বন্ধুদের মাঝে হাসতে হাসতে সারা বাড়ি মাতিয়ে রেখেছিল। বিদায়ের মুহূর্তেও ছিল পাখির মতো উচ্ছ্বল। কিছুদিন চিঠিও পাঠাল…তারপর সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেল। হারিয়ে গেল কোথাও!
কেন? কী এমন ঘটেছিল যে জাওয়াদ নিজেকে এইভাবে গুটিয়ে নিয়েছিল? কেন ও এই বাড়িতে থাকতে চায় না? কেন মায়ের সঙ্গেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলে না? এমন আচরণ তো তখনই করবে, যখন তান্ত্রিকের বলা সেই সত্য জানতে পারবে! তবে কি...
চিন্তাটা মাথায় আসতেই ললিতার মাথা ঘুরতে লাগল। চারপাশের অন্ধকার চোখের সামনে আরও গাঢ় হয়ে এল, হারিকেনের ম্রিয়মাণ আলোটুকুও ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। আঙুলের বাঁধন আলগা হতেই হাত ফসকে হারিকেনটি মাটিতে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে নিভে গেল আলো!
ললিতা দেয়ালে হাত রেখে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলেন। শরীর আর ধকল সহ্য করতে পারছে না। কপাল বেয়ে ঠান্ডা ঘামের রেখা গড়িয়ে পড়ছে, শ্বাস ভারী হয়ে আসছে। তবুও অবশ পায়ে কোনোমতে টেনে আনলেন নিজেকে খাসমহলের দিকে।
দরজার চৌকাঠে পৌঁছাতেই হঠাৎ চোখে অমানিশার অন্ধকার নেমে এল। ধপ করে লুটিয়ে পড়লেন মেঝেতে!
দূরে দাঁড়িয়ে থাকা দাসীটি আতঙ্কিত চোখে দৃশ্যটি দেখেই চিৎকার করে উঠল। মুহূর্তে তোলপাড় শুরু হয়ে গেল মহলে।
বৃষ্টি নেমেছে। বাতাসে ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ, দূর আকাশে বিদ্যুতের চমক, আর তার মাঝেই সীমাহীন অন্ধকার পেরিয়ে মনির ছুটছে। পিচ্ছিল পথ মাড়িয়ে, অন্ধকারে পথ হাতড়ে দিগ্বিদিক ছুটছে ডাক্তারকে খবর দিতে৷
ডাক্তার এসে ললিতার নাড়ি ছুঁয়ে দেখলেন, কপালে হাত রেখে এক মুহূর্ত স্থির হয়ে রইলেন। শব্দর, জুলফা, সুফিয়ানসহ দাস-দাসী সকলে নিঃশ্বাস আটকে অপেক্ষা করছে ডাক্তার কী বলে শোনার জন্য।
শেষে ডাক্তার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “বেগম সাহেবা শারীরিক ধকল আর মানসিক চাপ একসঙ্গে সহ্য করতে পারছেন না। এখনো দুশ্চিন্তা করেন, বিশ্রাম নিতে হবে। ভয়-ভীতি, উদ্বেগ কিছুতেই যেন ওনার ধারে-কাছেও না আসে।”
সুফিয়ান চওড়া বুকে হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বললেন, “গুরুতর কিছু নয়তো ডাক্তার?”
ডাক্তার মাথা নাড়িয়ে বললেন, “আল্লার রহমত, এখনো তেমন কিছু নয়। মাত্রই তো বিছানা ছেড়ে উঠেছিলেন এখুনি আবার,”ডাক্তার থামলেন। চোখের চশমা ঠিক করে বললেন, “সঠিক যত্ন নিলে শিগগিরই সেরে উঠবেন।”
ডাক্তার বিদায় নিতেই ধীরে ধীরে বাকিরাও সরে গেল।
জুলফা ঘরে ফিরে যাওয়ার পথে এক মুহূর্তের জন্য বারান্দায় চোখ বুলিয়ে নেয়। আজ সারাদিন নাভেদকে কোথাও দেখেনি। মানুষটা পরিশ্রমী, সবসময়ই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকে। তবে প্রতিদিন দুপুরে ঠিকই খেতে আসতো। তখন একবার হলেও তার দেখা মিলতো। আজ কেন খেতে আসেনি? শব্দরকে সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করার সাহসও হচ্ছে না। পাছে সন্দেহ তৈরি হয়! ঘরে চলে যাবে ঠিক তখনই সেলিমকে অতিথি ভবনের দিকে যেতে দেখে, পানি আনার অজুহাতে শব্দরকে ঘরে পাঠিয়ে দ্রুত সেদিকে ছুটে গেল জুলফা।
সেলিমের পথ আটকে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল, “তোমার মালিক কোথায়? দুপুরে খেতে আসেনি কেন?”
সেলিম কুর্নিশ করে চোখ নত রেখে জানাল, “ছোট হুজুর একটা কাজে পাঠিয়েছেন, বেগম।”
জুলফার মনে ক্ষণিকের জন্য ক্ষোভ জেগে উঠল শব্দরের উপর। নাভেদ সারাদিন কাজ করেছে, রাতের জন্য ছেড়ে দেয়া যেত না? আহারে, মানুষটা সারাদিন কাজের ব্যস্ততায় কাটায়, রাতেও একটুখানি বিশ্রামের সুযোগ পেল না!
ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে খালের জলে। চারপাশ ধোঁয়াশার মতো ভিজে একাকার। খালের তীর ধরে সারি সারি নলখাগড়া মাথা উঁচু করে দুলছে বাতাসে, মাঝে মাঝে টুপটাপ বৃষ্টির ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে সরু পাতাগুলোর ডগা বেয়ে।
একটা ছোট নৌকা বাঁধা খালের পাড়ে, পানিতে হালকা দুলছে। তাতে বসে আছে বিষ্ণু প্রামাণিক। মাথায় একটা পুরোনো ছাতা ধরে রেখেছে কাঁধের সাথে ঠেকিয়ে। বৃষ্টির ছাঁট গায়ে লাগছে, কিন্তু সে তেমন আমল দিচ্ছে না। ধীরে ধীরে পান চিবুচ্ছে আর দূরের পানির ঢেউয়ের দিকে উদাস চোখে তাকিয়ে আছে।
পিছন থেকে ভেসে আসে পায়ের ছপছপ আওয়াজ। নাভেদ আসছে, হাতে কালো কাপড়ের ছাতা। নৌকার কাছে এসে দাঁড়িয়ে হালকা হাসি দিয়ে বলল, “বড় বেশি ভিজছেন গুরুজি।” নাভেদ ছাতাটা একটু ঝাঁকিয়ে পানি ফেলল।
বিষ্ণু ধীর চোখে তাকিয়ে পানটা একপাশে সরিয়ে বলল, “ভিজলে কী হয়? এই হাত পা ভিজতে-ভিজতে সয়ে গেছে!”
ভূঁইয়াদের আড়তের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের মানুষ ছিল বিষ্ণু প্রামাণিক। দীর্ঘকাল ধরে জমিদারি কাছারির এই বিশ্বস্ত হাতিয়ার নিজের ছায়ার মতোই ভূঁইয়াদের সেবায় নিয়োজিত ছিল। গুদামের সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে পণ্যের আমদানি-রফতানির জটিল চক্রব্যূহ সবই তার হাতের মুঠোয় থাকত। একটা চাল ভুল হলে, একটা হিসাব এদিক-ওদিক হলে, বিষ্ণু রাতভর ঘুমাত না।
গ্রামের মানুষ তাকে দেখত শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভয়ে। তারা জানত, বিষ্ণু প্রামাণিকের চোখে ধুলো দেওয়া অসম্ভব। কিন্তু একটিমাত্র ভুলের জন্য শব্দর ভূঁইয়া তাকে দায়িত্ব থেকে বিতাড়িত করেছিল। সেই থেকে বিষ্ণুর অন্তরে জন্ম নিয়েছিল প্রতিশোধের বীজ। তার বুকে জমে থাকা অপমানের পুঞ্জীভূত লাভা ফেটে পড়ার জন্য মুহূর্ত গুনছিল।
সেই ক্ষোভের সাঁকো পেরিয়েই নাভেদ আর বিষ্ণু হাত মিলিয়েছে। একটা প্রবাদ আছে না? 'শত্রুর শত্রু বন্ধু'।
ভূঁইয়াদের ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার অভিযানে দুজন এখন সহযোদ্ধা। তাদের প্রথম পরিকল্পনা, কান্তারপুরের হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার মাধ্যমে ভূঁইয়া পরিবারের সামাজিক অবস্থানকে দুর্বল করে দেওয়া। এ নিয়েই গভীর রাত পর্যন্ত দুই ষড়যন্ত্রকারী পরিকল্পনার সূক্ষ্ম জাল বুনল।
নিশিরাতে যখন নাভেদ ঘরমুখো হলো, তখন কালো মেঘের চাদরে মুড়ে গেছে নীলাকাশের সমস্ত বিস্তার। কোহিনূর তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
দূর থেকে নাভেদের ছায়ামূর্তি দেখে তার নিঃশ্বাস থেমে গেল মুহূর্তের জন্য। চমকে উঠলেন তিনি, “জাওয়াদ!” পরক্ষণেই আবছা অন্ধকারে চিনতে পারলেন, না, ওটা জাওয়াদ নয়। নাভেদ!
শহর থেকে কান্তারপুরে ফিরে আসার পর থেকেই তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ শেষে বারান্দার রেলিং ধরে নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকেন দূরের পথে। বিশ্বাস করেন, জাওয়াদ ফিরবে। হয় রক্তের টানে, নয়তো গুলনূরের জন্য। কিন্তু ফিরবে, কিছুদিনের মধ্যেই ফিরবে।
হয়তো কোনো এক সন্ধ্যায় কাজ শেষে হঠাৎই জাওয়াদ অস্থির হয়ে পড়বে। নিজেকে আর সামলাতে পারবে না। সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আর পুরনো ব্যথা পুঁজি করে সোজা বেরিয়ে পড়বে কান্তারপুরের দিকে। হয়তো নিশিথ রাতে বা ভোরের আলো ফোটার আগে এসে দাঁড়াবে এই বাড়ির দরজায়। তাই কোহিনূর এই সময়টুকু জেগে থাকেন। অপেক্ষা করেন নিজের বিশ্বাসকে ভরসা করে।
গুলনূরের বিয়ের আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। বিয়েটা চুপিসারে নিভৃতে সেরে ফেলা হবে৷ না আছে কোনো ঢোল-কাঁসর, না আছে আলোর মালায় সাজানো উঠোন। কাউকে নিমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়নি। শুধু কাজী সাহেব আসবেন মসজিদ থেকে, কালিমা পড়ে বিয়ের পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করে দেবেন গুলনূর আর আসাদকে।
যদি জাওয়াদ ফিরে এসে বিয়ের মজলিশে জল ঢেলে না দেয়, তবেই তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন। তারপর গুলনূর আর আসাদকে নিয়ে স্বামীর ভিটেয় ফিরে বড়সড় বউভাতের আয়োজন করবেন। সমস্ত আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, গাঁয়ের মুরুব্বিদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াবেন। এখন বিয়েটা সুতোয় ঝুলছে, যে কোনো মুহূর্তে ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়!
সেইসাথে একটা শঙ্কা কাজ করে, যদি জাওয়াদ ফিরে এসে গুলনূরকে দাবি করে বসে? ভাবতেই বুকের ভেতরে তোলপাড় শুরু হয় কোহিনূরের। তিনি জানেন না, সেই ঝড়ের মুহূর্তে কোন পথে হাঁটবেন!
তার ঠিক দুইদিন পর কোহিনূরের বিশ্বাসকে সত্যিতে পরিণত করে, যখন সূর্যদেব পূর্ব আকাশে সোনালি কিরণের ফুলঝুরি ছড়াতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই জাওয়াদ ফিরে এল।
গোডাউনটা গাঢ় অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। চারদিকের নিস্তব্ধতা এমন ভয়াবহ যে কাদেরের নিজের শ্বাসের আওয়াজও কানে বাজছে ঢাকের মতো। চোখ খুলতেই পিঠের হাড় বেয়ে হিমেল স্রোত নেমে এল। হাত-পা শক্ত করে বাঁধা, একটুও নড়াচড়া করার উপায় নেই। বাতাস যেন পাথরের মতো ভারী, অক্সিজেন বলে কিছু নেই এখানে। গলা শুকিয়ে কাঠ, শ্বাস নিতে গিয়েও মনে হচ্ছে দম আটকে আসছে।
হঠাৎ, লোহার দরজা খোলার কর্কশ শব্দ ভেসে এল। ফাটলের ভেতর দিয়ে সরু আলোর রেখা ঢুকল। তার পেছনে দেখা গেল স্যুট-কোট পরা এক ছায়ামূর্তিকে। ধীরে ধীরে সে এসে দাঁড়াল কাদেরের সামনে।
লোকটাকে চিনতে পেরে তার রক্ত জমে গেল বরফের মতো। স্যুট পরা মানুষটা কোনো কথা না বলে প্রথমে কাদেরের পায়ের দিকে তাকাল, তারপর নীরবে একটা বোতল থেকে কোনো তরল ঢেলে দিল পায়ের ওপর। কাদের ভয়ে চোখ বড় বড় করে বুঝতে চাইল কী হচ্ছে! কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে নাচতে শুরু করল আগুনের শিখা। আগুনের লেলিহান জিহ্বা তার চামড়ায় দংশন করতে লাগল, অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠল। চিৎকার করতে চাইলে গলা দিয়ে বেরোল শুধু হুসহুস শব্দ।
লোকটা একপা পিছিয়ে নিস্পৃহভাবে আগুন নিভিয়ে দিল, তারপর আবার বোতল থেকে তরল ঢেলে নতুন করে আগুন জ্বালাল। আবার নিভিয়ে দিল। যেন কোনো নিষ্ঠুর খেলা চলছে! অসহ্য যন্ত্রণায় কাদেরের চোখে ভেসে উঠে জলন্ত জাহান্নামের ছবি। যেন জাহান্নামের আগুনে পুড়ে যাচ্ছে পা দুটো!
জানালার ওপাশে রাজ্জাক আর অরিজিত পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে এই ভয়ানক দৃশ্য দেখছিল।
স্যুটধারী লোকটা এবার আঙুলের ডগায় ব্লে'ড আর ছু'রি নাচিয়ে কাদেরের শরীরে একের পর আঘাত করতে লাগল। কাদেরের মাথা মুঠোয় নিয়ে দেয়ালে আছড়ে ফেলল বারবার।
একসময় জ্ঞান হারাল কাদের।
সে ঘামে ভেজা কপাল মুছে সোজা হয়ে দাঁড়াল। আনন্দের উচ্ছ্বাসে তার চোখের কোণে জলের আভাস! কারো রক্তেও এতো আনন্দ পাওয়া যায় জানত না! সে কাদেরের বাঁধন খুলে দিল, যেন কাদের শেষ শ্বাসের আকুতি নিয়ে বাঁচার জন্য সাপের মতো ছটফট করে, গড়াগড়ি খায়। পা দুটো পুড়ে কয়লার মতো কালো হয়ে গেছে, দাঁড়ানোর সাধ্য নেই।
কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে, কাদের আহত কুকুরের মতো শেষ প্রাণশক্তি জড়ো করে বিদ্যুৎ গতিতে তাকে টেনে মাটিতে আছড়ে ফেলে তার গলা দুহাতে লোহার শিকলের মত আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরল!
জানালার ওপাশ থেকে অরিজিত চমকে গিয়ে চিৎকার করে উঠল, “নয়ন!”
সে হাওয়ার বেগে ছুটে যেতে চাইলে রাজ্জাক শক্ত হাতে তাকে আটকে ফেলল। কাচের মত স্বচ্ছ, শীতল কণ্ঠে বলল, “যাস না, এই লড়াইটা ওর একার।”
.
.
.
চলবে........................................................................