অনন্যা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পায়ের নিচের মাটি বদলে গেল। উঁচু হয়ে উঠে দাঁড়ালো শুধু ইটের তৈরি এক পাহাড়। নিচে উত্তাল সমুদ্র, ঢেউ আছড়ে পড়ছে পাহাড়ের গায়ে। দূর থেকে ভেসে আসছে কোনো অজানা প্রাণীর চিৎকার, শীতল হাওয়ায় ভয় মিশে আছে।পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ানো অসম্ভব। এক পা বাড়ালেই গভীর অতলে পড়ে যেতে হবে, আর পেছনে ফেরারও উপায় নেই।
অনন্যা বুঝে উঠতে পারছিল না কী করবে। চারপাশে শুধু ধ্বংসের আওয়াজ। কিন্তু হঠাৎ পাশ থেকে কারো আওয়াজ ভেসে আসলো। অনন্যা মুখ ঘুরিয়ে তাকালো তার পানে। পাশে উঁচু হয়ে দাঁড়ানো আরেকটি একই রকম ইটের পাহাড়। হঠাৎ পাশ থেকে ভেসে এল এক গলা,
"আমাকে বাঁচাও, অনন্যা!"
অনন্যা চমকে তাকালো।
উল্টোদিকের পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে কৌশিক স্যার! চোখে এক অদ্ভুত যন্ত্রণা, কণ্ঠে আকুলতা। সাগরের গর্জনের মাঝে তাঁর ডাক ক্রমেই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে লাগল। মনে হলো সমুদ্রের শব্দকে ছাপিয়ে সেই আহ্বানটাই পৌঁছে যাচ্ছে অনন্যার কাছে।
অনন্যা ডান পাশে মুখ ফেরাতেই দেখতে পেলো আরও এক কৌশিক স্যার। এবারও সেই একই আর্তনাদ,
"অনন্যা, বাঁচাও!"
কিন্তু এবার তার গলার টান ভিন্ন, শোনার সঙ্গে সঙ্গে বুকের ভেতর শিহরণ খেলে গেল অনন্যার। এরপর ধীরে ধীরে মাটির বুক ফুঁড়ে একের পর এক পাহাড় উঠে এলো, ধপধপ শব্দে চারপাশ ঘিরে ফেলল অনন্যাকে। পাঁচটি পাহাড়, প্রতিটিতেই একজন করে কৌশিক স্যার!
একজন কাতর স্বরে বলছে,
"অনন্যা, দয়া করো!"
আরেকজন রাগে ফেটে পড়ছে, ক্রোধান্বিত হয়ে বলে উঠছে,
"অনন্যা, তুমি কি শুনতে পাচ্ছ না?"
তৃতীয়জনের কণ্ঠ শীতল এবং ভয়ঙ্কর, সে বলছে,
"আমাকে না বাঁচালে তুমিও শেষ, অনন্যা।"
চতুর্থজন অদ্ভুতভাবে হাসছে, মনে হচ্ছে কথার মায়াজালে খেলছে অনন্যার সাথে, "প্রিন্সেস, তুমি কি জানো এখানে কোন ব্যক্তির জীবন আসল?"
পঞ্চমজনের চোখে শূন্যতা, তার ধীর কণ্ঠ কানে ভেসে আসলো,
"আমি পড়ে যাচ্ছি, অনন্যা।"
অনন্যার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এদের সবাই কি সত্যিই কৌশিক স্যার? নাকি এর মধ্যে কেউ বা সবাই ভ্রম? কার হাত ধরা উচিত? আর কাকেই বা ফেলে যাওয়া উচিত? নাকি এই পাঁচজনের কেউ-ই আসল নয়? অনন্যা ভাবতে ভাবতে পাগল হয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে শরীর যন্ত্রণা তো আছেই। সকলের কণ্ঠ একে একে কানে বাজছে। সময়ের পরতে পরতে অনন্যা বুঝতে পারলো এদের মধ্যে যেকোনো একজনকে খুঁজে নিতে হবে যে হতে পারে আসল কৌশিক স্যার। অনন্যা চোখ তুলে সকলের দিকে তাকালো। সকলের চোখেই একসময় আকুতি, একসময় হিংস্রতা দেখা যাচ্ছে। কারোরটায় ভিন্নতা নেই। সকলের চোখ দুটোই নীলের তীক্ষ্ণ আগুনে জ্বলছে। অনন্যা ঘুরেফিরে সকলের দিকেই একবার একবার করে তাকালো। ধীরে ধীরে বুঝে উঠার চেষ্টা করলো এক পা বাড়াতেই পাশ থেকে পাথর খসে নিচে পড়ে গেলো। প্রচন্ড জোরে আওয়াজ হলো, ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হলো পাথরের খন্ড। অনন্যা ঢোক গিললো। প্রতিটি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কৌশিক স্যার অনন্যাকে ডেকে যাচ্ছে। সবাই তাকে বাঁচাতে বলছে শুধু একজন নিশ্চুপ হয়ে ছিল। অনন্যা দ্রুত ঘুরে তার দিকে তাকাতে নিলো। আর তখনি অনন্যার পা ফসকে গেলো। সে নিচে পড়ে যেতে নিলো। পড়তে গিয়ে সেই পাহাড়ের এক খন্ডকে আঁকড়ে ধরলো অনন্যা। সবাই তখনো চিৎকার করে অনন্যাকে বাঁচাতে বলছে। শুধু একজন কৌশিক স্যার নিচু হয়ে বসে পড়েছে। অনন্যা পাশে তাকিয়ে দেখলো সে একটু দূরেই। শুধু এক হাত বাড়ালেই হয়ে যায়। কিন্তু সামনের মানুষটিকেও তার হাতটি ধরতে হবে।
নিচে উত্তাল সমুদ্র, ফেনায়িত ঢেউ আছড়ে পড়ছে পাহাড়ের গায়ে। অনন্যার আঙুল পাথরের ফাঁকে শক্ত হয়ে আটকে আছে, পায়ের নিচে ঠাঁই নেই। পুরো শরীর ঘেমে গেছে, হাত কাঁপছে।
চারপাশে এখনো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে
"অনন্যা, আমাকে বাঁচাও!"
কিন্তু সে কারো দিকে তাকাল না। তাকালো শুধু সেই একজনের দিকে, যে এখনো চুপচাপ বসে আছে।পাহাড়ের চূড়ায় বসে থাকা কৌশিক স্যার নড়ছে না। তার চোখ নীল আগুনে জ্বলছে, ঠোঁটে কোনো আকুতি নেই। একদৃষ্টে শুধু অনন্যার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে একটা পরীক্ষার মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে দু’জনেই।
অনন্যার নিঃশ্বাস অগোছালো, তবু সে তার হাতটা বাড়িয়ে দিলো, ধরা গলায় বলল,
"স্যার, হাতটা ধরুন!"
কিন্তু লোকটা নিচু হয়ে বসে ছিল। তার এক্সপ্রেশন সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছিল। মুখ ও নড়ছিল কিন্তু শব্দ বের হচ্ছিল না। অনন্যা বুঝতে পারছিলো না কি করা উচিত। সে হাত বাড়িয়ে কয়েক বার ডাকলো কিন্তু কৌশিক স্যার সাড়া দিলো না।এক হাত দিয়ে ধরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে হাত ও আলগা হয়ে যাচ্ছে। অনন্যা আবারো দুই হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করলো। অনন্যার আঙুলের বাঁধন আলগা হয়ে আসছে। পাথরের ধার কমে আসছে হাতের মুঠো থেকে। সে আর পারছে না, একসময় আশা ছেড়ে দিলো। মনে হলো এবার সব শেষ।
চোখ বন্ধ করতেই এক নিমিষে চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেলো। কিন্তু ঠিক তখনই কোনো এক শক্ত হাত দৃঢ়ভাবে তাকে ধরে ফেললো!
অনন্যা চোখ খুলে তাকালো। উনি! যাকে এতক্ষণ ধরে ডাকছিল, যিনি এতক্ষণ নিশ্চুপ ছিলেন, তিনি, সেই কৌশিক স্যার এখন পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন, হাত বাড়িয়ে অনন্যাকে টেনে তুলছেন।
শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল অনন্যার, কিন্তু সেই আশ্বাসের স্পর্শে প্রাণ ফিরে পেলো সে। উঠে দাঁড়াতেই স্যারের গায়ে মাথা রাখলো। বহুদিন পর পাওয়া কোনো আশ্রয় পেলো অনন্যা। মুখে হাসি ফুটে উঠলো তার।
কিন্তু পরের মুহূর্তেই শরীরের নিচে শূন্যতা অনুভব করলো অনন্যা। হাতের বাঁধন ফাঁকা হয়ে গেলো। স্যার নেই! কয়েক সেকেন্ড আগেও যার অস্তিত্ব এত বাস্তব ছিল, তিনি হঠাৎ করেই শূন্যে মিশে গেলেন। অনন্যা অবাক হয়ে হাত বাড়ালো, কিন্তু ছুঁতে পারলো না। সে দাঁড়িয়ে রইলো পাহাড়ের চূড়ায়, বিস্ময়ের ভারে স্তব্ধ হয়ে। মনে হলো কৌশিক স্যারের এভাবে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া কোনো গভীর অর্থ বহন করছে। কিন্তু কি! সেটা বুঝতে পারলো না অনন্যা।
আচমকাই সকলের চিৎকার বন্ধ হয়ে গেল যেভাবে তারা হুট করে এসেছিল, আবার হুট করে চলেও গেলো। অনন্যা চক্ষু মেলে সবটা দেখলো। সকলের হারিয়ে যাওয়া দেখলো অনন্যা। তার পায়ের নিচের পাহাড়ের চূড়া পরিবর্তন হয়ে ধরা দিলো সেই নগ্ন রুমের কামরা। হুট করে দরজাটাও খুলে গেলো। অনন্যা ছুটে গেলো বাইরে। যে রুমে কৌশিক স্যার ছিল ঠিক সেই রুমে ফিরে গেলো অনন্যা। দরজা খুলেই কৌশিক স্যারকে শক্তি শোষণ করতে দেখতে পেয়েছিলো অনন্যা। তখনি খুব জোরে চিৎকার করে ছুটে গেলো তার কাছে। আর কোনো কিছু না ভেবেই জড়িয়ে ধরলো। অনন্যার উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে কৌশিক থেমে গেলো। হাত ছেড়ে দিলো। সামনের মানুষটি বেঁচে গেলো। অনন্যা নিশ্চুপ হয়ে স্যারকে জড়িয়ে ধরে বললো,
"আপনি ঠিক আছেন?"
কৌশিক কোনো উত্তর দিলো না। সে নিভে গেছে, তার ভেতরের জ্বলন্ত আগুনের শিখা ধীরে ধীরে নিভে আসছে।অনন্যা অনুভব করলো, কৌশিক স্যারের শরীর থেকে একসময়কার সেই দুরন্ত তাপ আর নেই।
ভেনোরাও স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে, মুখে বিস্ময়। সে ভেবেছিল অনন্যা সেই রুম থেকে কখনোই বের হতে পারবে না। কিন্তু বের হলো কীভাবে তা-ই চিন্তা করার বিষয় হয়ে পড়েছে।
**********
কৌশিক রুমে ঘুমিয়ে আছে। এই রুমটি সেই পুরোনো দালানের রুম। অনন্যা এক দৃষ্টিতে কৌশিক স্যারের শান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। তার বুকের ওঠানামা স্থির। গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে সে। অথচ এ ঘুম কোনো সাধারণ ঘুম নয়! এ শূন্যতার এক অদৃশ্য কারাগার, যেখানে পৌঁছানো যায় না, ডাকা যায় না।
ভেনোরা একপাশে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। অনন্যার ব্যস্ততা, উদ্বেগ, একের পর এক স্পর্শ। সবকিছু দেখে সে শুধু মাথা নেড়ে বললো,
"এরকম করলে লাভ নেই। ওর সময় হলে ও উঠে যাবে। আর তুমি যেটা করছো ঠিক করোনি। শক্তি শোষণের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটিয়েছ যা কিয়ানের জন্য ক্ষতিকর।"
অনন্যা ভ্রূকুঞ্চিত করলো, কথার মামলায় একটুও পিছু হটলো না।
"তুমি তো চুপই থাকো। তোমার কথা শুনতে চাই না আমি।"
ভেনোরা হালকা হাসলো। সব জানলেও কিছুই বলবে না সে। তার ঠোঁটে নির্লিপ্ততা। কৌশিকের শরীরের শিরা-উপশিরাগুলো আগের মতো আর কালো নেই। অনন্যার স্পর্শের পরেই সেই বিষাক্ত অন্ধকার কোথাও হারিয়ে গেছে। অথচ এই পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিতে পারছে না ভেনোরাও।
সে শুধু একবার অনন্যার দিকে তাকিয়ে মৃদুস্বরে বললো, "তুমি জানো না তুমি কী করেছ।"
ভোর সকালে কৌশিকের ঘুম ভাঙলো। কৌশিক ধীরে ধীরে উঠে বসল। শরীর এখনো ভারী লাগছে। ঘুমের ভেতরই আটকে আছে মনে হলো। পাশে তাকাতেই চোখে পড়লো অনন্যাকে। বিছানার কিনারায় মাথা হেলানো, চোখ বন্ধ, নিঃশ্বাস গভীর। চেহারায় ক্লান্তি ছড়ানো, রাতভর জেগে থাকার চিহ্ন ওর সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে।
কৌশিক কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থাকলো, তারপর আলতো করে পাশে হাত বাড়িয়ে নিজের পোশাক খুঁজতে লাগলো। কিন্তু পেলো না কোথাও। ভ্রূ কুঁচকে চারপাশে চোখ ফেরালো, বিছানার অপর পাশ দিয়ে নেমে আলমারির দিকে এগিয়ে গেলো। এই রুমটিও কৌশিকের নিজের রুমের মতো।শুধু সিঁড়িটা নেই। বাকি সব একই। কৌশিক পিছন ফিরতেই দেখতে পেলো অনন্যা উঠে গেছে। অন্য সময় তো ওঠে না।আজ ঠিক উঠে গেলো। অনন্যা মুখে হাসি নিয়ে বললো,
"ঠিক আছেন?"
কৌশিক স্বাভাবিকভাবেই মাথা নাড়লো। অনন্যা চোখ ডলে উঠে আসলো তার দিকে। একদম স্যারের বরাবর এসে দাঁড়ালো সে। তারপর নিজের ডান হাত তুলে স্যারের বুকের বাম পাশে রেখে জিজ্ঞেস করলো,
"এখানে আমি আছি ঠিক আছে?"
কৌশিক ভ্রু কুঞ্চিত করলো। অনন্যা কৌশিকের বুকের ডান পাশে হাত রেখে বললো,
"আর এই স্থানটা রক্ষা করার দায়িত্ব আমার।"
কৌশিক কিছুক্ষণ চুপচাপ রইলো। অনন্যার কণ্ঠের আকুলতা। শুনে একটা অদ্ভুত শিহরণ খেলে গেলো তার মনে। বুকের ডান পাশে অনন্যার উষ্ণ স্পর্শ অনুভব করলো সে। একটা অদৃশ্য প্রতিশ্রুতি মিশে আছে সেই ছোঁয়ায়।
অনন্যা শক্ত করে কৌশিক স্যারকে আঁকড়ে ধরলো, মৃদু স্বরে বললো,
"আর যাবেন না প্লিজ। কষ্ট হয়।"
কৌশিকের ঠোঁটের কোণে অজান্তেই এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। সে দু'হাতে অনন্যাকে কাছে টেনে নিলো, গভীর মমতায় জড়িয়ে ধরে চুলের মাঝে আলতো চুম্বন বসিয়ে বললো,
"দূরে চলে যাওয়ার ইচ্ছে নেই আমার। বলেছিলাম, রেখে দিতে পারলে রেখে দিও আমাকে।"
অনন্যা সেই কথারই উত্তর দিলো, আরো শক্ত করে তাকে ধরে রাখলো। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে কৌশিকের বাহুতে ঠেকলো, কণ্ঠে অনড় সংকল্প ধরা দিলো,
"আজীবন রাখতে চাই। আপনি কি জিনিস, সেটা আর জানতে চাই না। শুধু আপনাকে চোখের সামনে দেখতে চাই।"
কৌশিক চোখ বন্ধ করলো। অনন্যার উষ্ণ স্পন্দন তার শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু সেই প্রশান্তির গভীরে অন্য কিছু ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। একটা শীতল শিহরণ, এক তীব্র তৃষ্ণা, যা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
ভেনোরার কথা সত্যি ছিল। শক্তি শোষণের ক্ষমতা তার আগের চেয়েও বেড়ে গেছে। কিন্তু ভয়টা অন্য জায়গায় এখন! সেই শক্তির ক্ষুধা যখন জাগবে, তখন সামনে কে আছে, কৌশিক তা বুঝতে পারবে তো? প্রিয়জনকেও কি রেহাই দিতে পারবে সে?
কৌশিক অনন্যার ঘন হয়ে আসা শ্বাসের শব্দ শুনলো। সে এখনো তাকে আঁকড়ে ধরে আছে, এই আশ্বাসেই সব ভয় দূর হয়ে যাবে। কিন্তু কৌশিক জানে, একসময় এই বাঁধনই হয়তো বিপদের কারণ হয়ে উঠবে। সে চোখ খুললো, ঠোঁটের কোণে চাপা বিষণ্নতা দেখা যাচ্ছে। সময় যত এগোচ্ছে, কৌশিক বুঝতে পারছে! এই বন্ধন, এই মায়া কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠছে তার জীবনের জন্য! আর রয়েছে অনন্যা যার মধ্যে নিহিত রয়েছে কৌশিকের চিরচেনা শত্রু। কি হবে সামনে?
.
.
.
চলবে.......................................................................