কৃষ্ণ বড় প্রকৃতিপ্রেমী। সে মনে মনে বিশ্বাস করে, প্রকৃতি ছাড়া কখনো একটা মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। আর প্রকৃতির সবচে' মধুময়, স্নিগ্ধ রূপ হলো ফুল। যে মানুষ এই ফুলের ঘ্রাণে মোহিত হয় না, সৌন্দর্যে প্রেম প্রেম সুধায় কাতর হয় না সে নিত্যান্তই মানুষ হিসেবে কলঙ্ক। তার পৃথিবীতে থাকার কোনো অধিকার নেই। যদিও অধিকাংশ মানুষ কৃষ্ণর এরুপ মতবাদে দ্বিমত পোষণ করেন। যার যার নিজস্বতা বলতে একটা কথা আছে। সিস্টেমেকলি সবার সবটা পছন্দ নাও হতে পারে। কৃষ্ণ সেটা মানতে নারাজ। তার পূর্বপুরুষ সবাই মালি ছিলেন। সে হিসেবে একজন মালির যেসব গুণ থাকা দরকার তার সবই কৃষ্ণর আছে। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাগানের শাকসবজি, ফুলফলানিতে পানি দিতে দেখা যায় তাকে। খুটিনাটি বাগানের কাজও করে। তা দেখে একদিন তো মুন্সি মালি প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন। অনুরোধ করে কৃষ্ণকে বলেছিলেন, ‘তুমি এইবার থামো, বাবা। শুধু শুধু আমগো গরিবের পেটে লাত্থি দিতেছ ক্যান?’
গরিব কে? এই পৃথিবীতে যার বাবা-মা নেই তারচেয়ে গরিব কেউ হতে পারে না। হলে সেটা ধৃষ্টতা হয়ে যায়। কৃষ্ণকে এই বাড়ির মানুষ করুণা করে রেখেছে। আত্মায়, রক্তে সে আদৌ এ বাড়ির কেউ না। ব্যাপারটা ভাবলে শক্তপোক্ত পুরুষ মনে আচানক আঘাত লাগে। বিশ্রী, কুৎসিত আঘাত। আরেহ্, আপন মা যেখানে কৃষ্ণর আপন হতে পারলো না সেখানে অন্যের কথা ভেবে কি লাভ? বুক ভারি হয়ে এলেও নিজেকে সামলায় কৃষ্ণ। সে এই বাড়ি, এই বাড়ির মানুষ, এই বাড়ির বাগানের প্রতি প্রচন্ড রকমের কৃতজ্ঞ। তার মতো অনাথকে আশ্রয় দিয়েছেন তারা। পরিবারের মতো ভালোবেসেছেন। তবুও কৃতজ্ঞতার পাশ মাড়িয়ে একটা শূণ্যস্থান থেকে যায়। ওই শূণ্যস্থান কখনো পূরণ হবে না। হবে না বলেই কৃষ্ণর মন মাঝে মাঝে আবদার করে, 'চল, হারিয়ে যাই। পৃথিবীতে কিছু মানুষের জন্মই হয় হারিয়ে যাওয়ার জন্য। এতে দোষ নেই। শান্তি আছে। মনের শান্তি। আত্মার শান্তি। গোটা মানুষটার শান্তি।'
কৃষ্ণ রবীন্দ্রসংগীতের বদ্ধ পাগল। সময়ে অসময়ে সুরেলা কণ্ঠে গান গাওয়ার একটা বাতিক আছে। বাগানে পানি দিতে দিতে সে হঠাৎ গেয়ে উঠলো,
‘তুমি সুখ যদি নাহি পাও
যাও সুখের সন্ধানে যাও
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে
আর কিছু নাহি চাই গো
আমার পরান যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো
আমার পরান যাহা চায়’
সদ্য ঘুম থেকে উঠে আসা মুন্সি মালি সেই গানের, কণ্ঠের একনিষ্ঠ আবেগ কিংবা কষ্ট ধরতে পারলে না। বরং তাকে প্রচন্ড বিরক্ত দেখালো। রয়েসয়ে বিরক্তি চেপে বললেন, ‘তোমারে না কইছি বাগানে আইবা না?’
গান শেষ করতে পারলো না কৃষ্ণ। ব্যাঘাত ঘটলো। ঘাড় ঘুরিয়ে একবার মুন্সি মালির দিকে তাকালো সে। লোকটা কপাল, ভ্রু, নাক বিশ্রী ভাবে কুঁচকে রেখেছে। কৃষ্ণ মুচকি হেসে বলল, ‘বাগানটা সবার, চাচা। আমু না ক্যান?’
মুন্সি মালি থতমত খেয়ে বললেন, ‘আইবা ভালা কতা। কিন্তু বাগানের কাজকাম করবা না খবরদার! এইসব আমগো কাম।’
কৃষ্ণ মনে মনে ভাবে, এই অবিনশ্বর পৃথিবীতে সে আসলে বড্ড অকর্মণ্য। তার নিজস্ব কাজ বলতে কিছু নেই। সে সারাদিন টো টো করে, ঘুরেফিরে কিন্তু কাজের মতো কাজ করে না। গ্রামে যা কাজ জোটে তার সবই কারখানা, ইটের ভাটা কিংবা দোকানের ছোটখাটো কাজ। মেজো চাচা সেটা করতে দেননা।
কৃষ্ণ বেশিদূর পড়ালেখা করেনি। এসএসসি পর্যন্ত। স্কুলে একদিন এক ছেলে তাকে বলেছিল, ‘বাবা-মা বলতে তো কিছু নেই। কোথাকার কোন মালির ছেলে। দয়ার জিনিস খাস, পরিস। তোর আবার পরিবার কিরে?’
কথাটা না চাইতেও গায়ে লেগেছে। মেজো চাচা শত বলে কয়েও তাকে আর পড়াতে পারেননি। পারিবারিক ব্যবসায় জোড় করেও ঢুকানো যায়নি। কৃষ্ণ খুব ছোট থেকে বুঝে গিয়েছিল, সে পরগাছা।
হাতের পানির পাইপটা নিচে ফেলে দিলো কৃষ্ণ। মুন্সি মালির কটমট দৃষ্টি উপেক্ষা করে গাছ থেকে কয়েকটা বেলীফুল ছিঁড়ে নিলো। মুঠোয় পুরে ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে বলল, ‘এই বাগান সবার, চাচা। আমার যখন ইচ্ছা পানি দিমু। তুমিও দিবা। সমস্যা কোথায়?’
হেঁটে হেঁটে মানুষীর ঘরে চলে এলো কৃষ্ণ। মানুষী তখন সবে নাস্তা করে পড়তে বসেছে। দুদিন বাদে কোচিং-এ একটা পরীক্ষা আছে তার। হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে। খাতায় আপাতত ঘর টানছে মেয়েটা।
কৃষ্ণ বেলীফুলগুলো খাতার একপাশে রাখলো। মানুষীর মাথায় টোকা দিয়ে খিকখিক করে হেসে বলল, ‘এত পইড়া কি হইবো? কয়দিন পর তো তোরে বিয়া দিয়া দিমু।’
মানুষী গম্ভীর কণ্ঠে বলল, ‘আমি বিয়ে করবো না।’
বলতে বলতে খাতায় ছড়িয়ে থাকা বেলীফুলগুলো গুছিয়ে নিলো সে। হাতের মুঠোয় নিলো। বার কয়েক ঘ্রাণ শুঁকে বলল, ‘এই বেলীফুলগুলোর ঘ্রাণ অনেক উগ্র। এটার জাত কি, কৃষ্ণ দা?’
কৃষ্ণ মাথা দুলিয়ে বলল, ‘এইডারে রাই বেলী কয়।’
মানুষী মন দিয়ে বেলীফুলগুলো দেখছিল। গোলাপের মতো দেখতে এগুলা। খুবই সুন্দর। দেখার মাঝেই খাতার পিঠে আবারও একটা কিছু রাখলো কৃষ্ণ। চিঠি জাতীয় কিছু। সম্ভবত পকেট থেকে এইমাত্র বের করেছে। আচমকা মাথায় সস্নেহে হাত বুলিয়ে বলল, ‘বড় চাচা, ছোট চাচা সবাই চইলা যাইবো দুইদিন পর। যাইবার আগে তোর মত শুনবার চায়। নিচে ডাকছে তোরে। ভুল কিছু কইছ না বোন। মনের কথা কইছ।’
একটু থেমে থম মেরে থাকা মানুষীকে একপলক দেখলো কৃষ্ণ। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘কাইলকা সাদিফ ভাইয়ের ঘরে ঘুমাইছিলাম। বালিশের তলে চিঠি পাইছি। সময় কইরা পড়িস।’
কৃষ্ণ চলে যেতেই মানুষী হুড়মুড়িয়ে চিঠি হাতে নিলো। উদগ্রীব হয়ে চিঠি খুলতে গিয়েও কি বুঝে আর খুললো না। রেখে দিল। কৃষ্ণ বলেছে, সবাই তার জন্য নিচে অপেক্ষা করছে। তার মতামত শুনবে। মানুষী আর বসে থাকলো না। গোছানো খোপা খুলে আরেকধাপ গোছালো। মনের কথা শুনবে নাকি অভিমানের, তা ভাবতে ভাবতেই পা বাড়ালো নিচে, বসার ঘরে।
••••••••••••••••••
‘তোমার কি সাদিফকে বিয়ে করতে আপত্তি আছে?’
বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে হাকিম ভূঁইয়াকে সবাই ভয় পান, শ্রদ্ধা করেন। এমন একটা মানুষের সামনে নির্লজ্জের মতো 'হ্যাঁ, না' কিছুই উত্তর দিতে পারল না মানুষী। মাথা নুইয়ে রাখল। পাশেই মিতা বসে ছিল। মানুষীর হাতে খুব জোড়ে চিমটি কেটে ও ফিসফিসিয়ে বলল, ‘উত্তর দিচ্ছিস না কেন? চোখ বন্ধ করে হ্যাঁ বলে দে। নাটক করিস না।’
মানুষীকে তখনো নিরুত্তর দেখে এবার হাকিম ভূঁইয়ার পাশে গিয়ে বসলো রঞ্জন। টেবিলে আঙুর রাখা। সেখান থেকে একটা নিয়ে চিবুতে চিবুতে বলল, ‘এভাবে রেগে কথা বললে তো ও ভয় পাবে বাবা। তুমি কি ওকে খুনের আসামি ভেবে জেরা করছো? সুন্দর করে জিজ্ঞেস করো।’
হাকিম ভূঁইয়া গলা খাঁকিয়ে উঠলেন। তিনি জন্মসূত্রে কর্কশ কণ্ঠের অধিকারী। সেই কর্কশ কণ্ঠকেই অতিশয় নরম করার প্রয়াস চালিয়ে বললেন, ‘তোমার আপত্তি থাকলে আমরা আর এগোবো না মা। তুমি নির্দ্বিধায় নিজের মতামত জানাও। ভয় পেও না।’
বলে একবার রঞ্জনের দিকে তাকালেন তিনি। চোখের ইশারায় বোঝাতে চাইলেন, 'এবার ঠিকাছে?' আঙুর খেতে খেতে রঞ্জনও পলক ঝাপটে আশ্বস্ত করল, 'ঠিকাছে, বাবা।'
মনে মনে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল মানুষী। অনেক হয়েছে! সাদিফ নামক ইতরকে কষ্ট দিতে গিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করা হয়েছে। আর নাহ! মানুষী এবার স্বার্থপর হবে। মনের কথা শুনবে।
দীর্ঘশ্বাস গোপন করে মানুষী বলল, ‘আপনারা যা সিদ্ধান্ত নিবেন তাতেই আমি রাজি, বড় আব্বু।’
‘আলহামদুলিল্লাহ।’ উচ্চস্বরে কথাটা বলে থামলেন হাকিম ভূঁইয়া। ছোট ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে অল্প হাসলেন।
রঞ্জন কণ্ঠে গাম্ভীর্যতা নিয়ে বলল, ‘তুই যা এবার। তোর এখানে আর কাজ নেই। বাকিটা আমরা সামলে নেব।’
মানুষীর হঠাৎ খেয়াল হলো, বাহিরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। ওইযে? সেদিন যে বৃষ্টি আশা দিয়ে চলে গেল? বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায় কি দারুণ স্নিগ্ধতা! মানুষীর মন, প্রাণ জুড়িয়ে যায়। অথচ উদাস দৃষ্টি তখনো অটল। একসময় তার কিশোরী মন এই বৃষ্টিতে ভেঁজা নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা করেছে। সাদিফকে নিয়ে এই বৃষ্টিতে প্রেমিক প্রেমিকা হিসেবে ভেঁজার সখটা তার বহু আগের। আকাশের ঝিরিঝিরি বরষায় মানুষী ভিঁজে একাকার হবে। সাদিফ হাসবে তাকে দেখে। হাত বাড়িয়ে কপালের দুষ্টু চুলগুলোকে ঠেলে দেবে কানের পেছনে। ফিসফিসিয়ে বলবে, ‘আমি তোকে ভালোবাসি, মানুষী।’
কিছু কল্পনা যত সুন্দর বাস্তবতা ততই ভয়ংকর। ধরণীর একটা কঠিন নিয়ম আছে। সেই নিয়মে সবকিছু মানুষের তথাকথিত কল্পনার মতো হয় না।
••••••••••••••
রাত বোধহয় সাড়ে দশটা। অন্ধকার ঘরের একপাশে কেবল টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে। নিস্তব্ধ পরিবেশ। মাঝে মাঝে শব্দ করে পড়ছে মানুষী। পড়তে পড়তে হঠাৎই নিরব হয়ে যাচ্ছে। তাকাচ্ছে সাদিফের ক্ষীণ পরিষ্কার, ক্ষীণ ধূলোয় মাখা চিঠিটার দিকে। এটাকে ঠিক চিঠি বলা যায় না। চিরকুট আর চিঠির মাঝামাঝি কিছু একটা। কথায় আছে, নিষিদ্ধ জিনিসে মানুষের ঝোঁক বেশি। মানুষীরও তাই। হাত বাড়িয়ে চিঠিটা নিলো সে। খুলল।
সাদিফের হাতের লেখা বরাবরই অসুন্দর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ছিঁটে ফোঁটা নেই। আঁকাবাঁকা, টানা টানা লেখা। একটু অগোছালো তবে পড়া যায়। ইতর লোকটা এহেন বিশ্রী হাতের লেখা নিয়েও প্রথম লাইনগুলো বড় দাম্ভিকতা নিয়ে লিখেছে,
‘মাধুবিলতা, শুন! তোকে দেখানোর জন্য এ চিঠি আমি লিখছি না। আমি এ চিঠি সযত্নে আমার রুমে ফেলে রাখবো। তুই যদি কোনোদিন পেয়ে যাস— তাই বলে রাখলাম।
আমি বরাবরই আমার মনের কথা বলতে অপটু। আমি প্রেম-ভালোবাসা অত বুঝি না। যদি তোকে একপলক দেখার জন্য আমার ব্যাকুল মনটার ব্যথাকে ভালোবাসা বলে ধরা যায়, তবে আমি তোকে ভালোবাসি। তোর মুখের হাসিটা যদি আমার মুখে হাসি ফুঁটিয়ে সাক্ষ্য দেয়, তবে আমি তোকে ভালোবাসি। তোর কষ্ট যদি আমাকে কষ্ট দেয়, তবে আমি তোকে ভালোবাসি মানুষী। আমার চোখ দেখে কি তুই এটুকু ধরতে পারিসনি? আমাকে এটুকু বুঝতে পারলি না মানুষী? তুই মেয়ে মানুষ। তোর অভিমান, রাগ করার অধিকার আছে। কিন্তু আমি পুরুষ বলে আমার যে অভিমান নেই, একথা তোকে কে বললো? আমারও অভিমান হয়। আমি ডাকলে তুই যখন মুখ ফিরিয়ে নিস তখন আমার বুক ভারি হয়। এইযে, যতসব সিনেম্যাটিক কথা লিখছি। লিখতে গিয়ে মুখ কুঁচকাচ্ছে। বিরক্ত হচ্ছি। তুই এই চিঠি দেখবি কি দেখবি না তার ঠিক নেই অথচ আমি কতকিছু লিখে ফেলছি!
আমি এ দু'বছরে তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি মানুষী। খারাপ স্বপ্ন না। ভালো, সুন্দর স্বপ্ন। তুই লাল শাড়ি পরে অপেক্ষা করছিস। আমার সঙ্গে কোনো এক নির্জন রাস্তায় হাতে হাত ধরে হাঁটছিস! তোর চোখে আমি আমার জন্য ভালোবাসা দেখতে চেয়েছি মানুষী। কিন্তু কখনো দেখিনি। আমার দিকে তাকালে তুই অভিমান করে তাকাস। কাঠিন্যতা তোর সম্বল হয়ে যায়। কেন? আমি কথা বলতে পারিনা বলে? মনের কথা বোঝাতে পারিনা বলে? তুই জোর করে বুঝতে পারিস না? কখনো কখনো জোড় করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়। যদিও আমাদের মধ্যে কখনো সম্পর্ক হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তাতে কি? তুই একবার জোর করে দেখ। আমি তোকে ফিরিয়ে দেব না। একবার ভালোবেসে ডাক। আমি চলে আসবো। বসে বসে তোর সব অভিমান, অভিযোগ শুনবো। তুই যত ইচ্ছে বকিস। আমি সব দোষ মাথা পেতে নেব মানুষী। কিন্তু মনের কথা বুঝাতে পারিনা বলে তুই ওমন অভিমানি চোখে আবার দিকে আর তাকাস না। আমার নিজেকে ব্যর্থ বলে মনে হয়। সারাজীবন টপক্লাস ছাত্র হয়ে এসেছি। কোনোদিন কেউ আঙুল তুলে বলতে পারেনি, 'সাদিফ এটা পারেনা। ওর দ্বারা ওটা হবে না।'
সেখানে আমি কিভাবে মেনে নেব, আমি! সাদিফ ভূঁইয়া তোর মতো পুঁচকের তীব্র অভিমান বুঝতে এত সময় লাগিয়ে ফেলেছি?
আর লিখবো না। চিঠির শেষে নাম লিখার নিয়ম আছে। ওটাও লিখতে ইচ্ছে করছে না। নামটা কাবিননামায় লিখতে পারলে শান্তি লাগতো। সময় যদিও লেখা যায়। কিন্তু রাত ক'টা বাজে জানি না। আজকাল ঘড়ি দেখতে ভালো লাগে না।’
.
.
.
চলবে.........................................................................