সারাদিনের মৃদু রোদের তেজ কমে গিয়ে সন্ধ্যার নম্রতা ঘনিয়ে এসেছে চারপাশে।সারা দিনের বিচরণ শেষে পাখি গুলো তাদের নীড়ে ফিরে যাচ্ছে।দিগন্তে হারিয়ে সূর্য তার সকল আলো লুকিয়ে কালিমা লেপন করছে সর্বত্র।
টানা সাতদিনের ছুটি কাটিয়ে মাহাদ আজ ডিউটি তে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছে।
আজকে মাহাদের নাইট শিফটের ডিউটি।
মাহাদ তার ইউনিফর্ম পরে নিজের পাসপোর্ট, ভিসা নিয়ে ফ্লাইট লাগেজ সমেত সিঁড়ি বেয়ে ড্রয়িং রুমে এসে দাড়ালো।
সুজানা মন খারাপ করে জিজ্ঞেস করলো
"কবে ফিরবে ভাইয়া"?
"পাঁচদিন পর।সবাই ভালো থাকবি আর ক্যামেলিয়ার খেয়াল রাখবি"
বলেই নিজের টাই টা ঠিক করতে লাগলো মাহাদ।
টুসি এসে ক্যামেলিয়ার কিছু পছন্দের চকলেটস এর নাম বললো
"ভাইয়া অবশ্যই অবশ্যই চকলেটস গুলো আনবে।মনে থাকে যেনো।
মিসেস মিতালি মন ভার করে বসে আছেন।
বাকি দুই মেয়ের থেকে মাহাদের প্রতি তার ব্যাপক ভালোবাসা।
ছেলে এই কদিন বাড়িতে ছিলো মনে হয়েছিলো বাড়িটা হাসিখুশিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ।
ছেলেটা চলে গেলেই পুরো বাড়ি খাঁ খাঁ করে।
বড় মেয়ে নিউইয়র্ক থাকে এতেও তার কোনো দুঃখ নেই।
কিন্তু মাহাদ এক সপ্তাহ বাড়িতে না থাকলেই মিসেস মিতালীর ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়।
মাহাদ সকলের থেকে বিদায় নেবার সময় চার পাশে চোখ বুলিয়ে ক্যামেলিয়া কে খুজলো।
কিন্তু কোথাও তাকে দেখা গেলো না।
টুসি,সুজানা কে জিজ্ঞেস করলে ওরা বললো আছে কোথাও একটা।
মাহাদের মন খারাপ হলো যাবার বেলায় ক্যামেলিয়া কে দেখতে না পাবার কারনে।
লাগেজ সমেত সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো মাহাদ।
বাইরে এসেও এদিক ওদিক উকি দিয়ে ক্যামেলিয়া কে খুজলো।
যখন পেলোনা তখন বিরস মুখে টুটুল কে কল করলো।
কল করতেই টুটুল গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করার জন্য দৌড়ে এলো।
এদিকে ক্যামেলিয়া মাহতাব চৌধুরীর নিজ হাতে করা ফুলের বাগানের পাশে পাতানো সাদা বেঞ্চিতে বসে বসে মনে মস্তিষ্কে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
একজন সুদর্শন ব্যাক্তিত্ত্বপূর্ন যুবকের সান্নিধ্যে দিনে– রাতে বেশির ভাগ সময় কোনো মেয়ে মানুষ থাকলে সেই যুবকের প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক কিছু না।
আর যুবক টি যদি হয় তার পরিবারের ঠিক করা হবু স্বামী তাহলে তো আরো কথা নেই।
মেজর মুহিতের কথা অনুযায়ী এবং ক্যমেলিয়ার নিজের চোখের দেখায় সে এটুকু বুঝে গিয়েছে যে,মাহাদ তার জন্য পাগলপ্রায়।
ছেলেটির দু চোখের চাহনির আকুলতায় ক্যামেলিয়ার প্রতি তার নিখাদ ভালোবাসার প্রমান স্পষ্ট।
"কিন্তু ক্যামেলিয়া কিভাবে তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে?
"হুট করেই কি কাউকে বলা যায় যে,মাহাদ ভাই আমিও আপনাকে ভালোবাসি?"
"আপনাকে পছন্দ করি?
কিন্তু মাহাদের জন্য ধীরে ধীরে ক্যামেলিয়ার মনে সফট কর্নার এর তৈরি হচ্ছে।ক্যামেলিয়া বুঝতে পারে এটা।
কিন্তু নিজের মনের কথা গুলো সাজিয়ে কাউকেই বলতে পারছে না সে।
টুসি আর সুজানা মাহাদের প্রতি ক্যামেলিয়া কে ইম্প্রেস করার জন্য অনেক ট্রিক্স ফলো করেছে এপর্যন্ত।
ক্যামেলিয়া সবই বুঝতে পেরেছে।
বিদেশি মেয়েদের কাছে প্রেম ভালোবাসা,হ্যাঙ আউটস, রুম ডেট এগুলো সব কিছুই ডাল ভাতের মতো।
কিন্তু সামান্য একটু ভালোবাসা,কারো পবিত্র সঙ্গতা ক্যামেলিয়ার কাছে অতীব মূল্যবান বললেও কম হয়ে যাবে।
একজন ভালো বন্ধু,সঙ্গী,একটু মমতা জড়ানো ভালোবাসার কাঙাল ক্যামেলিয়া।
সবাই শুধু সহানুভূতি দেখাতেই ভালোবাসা দেখায়।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা চোখে পড়েনা বললেই চলে।
কিন্তু মাহাদের ভালোবাসা স্বার্থহীন।এই কদিনে এটা শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে ক্যামেলিয়া।
কিভাবে নিজের মনের দ্বার মাহাদের জন্য উন্মোচন করবে ক্যামেলিয়া?
দুই হাতের করপুটে মুখ ঢেকে বিভিন্ন ভাবনা ভেবে যাচ্ছে ক্যামেলিয়া।হঠাৎই ক্যামেলিয়ার ভাবনার সুতো ছিড়লো গাড়ির ইঞ্জিন চালুর শব্দে।
চকিত হতেই ক্যামেলিয়া দেখতে পেলো মাহাদের গাড়িটি ধীরে ধীরে মেইন গেট পেরিয়ে রাস্তা ধরেছে।
উদ্ভ্রান্তের মতো বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলো ক্যামেলিয়া।
মাহাদ যে আজ চলে যাবে এটা সে জানতো,
যেহেতু মাহাদের যেতে যেতে সন্ধ্যা পার হবে সেটা ভেবেই হালকা আলো থাকতেই নিজেকে একটু রিল্যাক্স করার জন্য ব্রেইন এবং মনকে শান্ত করার জন্য সে গার্ডেনের কাছে এসেছিলো।
মাহতাব চৌধুরী দেশ বিদেশের বিভিন্ন নাম না জানা ফুলের গাছ কালেক্ট করেছেন এই গার্ডেনে।
এগুলোর সুবাস ও সৌন্দর্য ক্যামেলিয়ার মন কে শান্তি দেয় সেই সাথে মস্তিষ্কের আরাম দেয়।
সেজন্য ক্যামেলিয়া প্রায় বেশিরভাগ সময় ই এখানে কাটায়।
নিজের সাথে নিজের লুকোচুরি খেলতে খেলতে কখন যে এতোটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে ক্যামেলিয়া তা ঠাহরই করতে পারেনি।
মাহাদের চলে যাওয়া তাকে আফসোস এ পোড়াচ্ছে।
বুকে চিনচিনে ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে।
তবে কি অসময়ে বাইরে এসে ভুল করে ফেললো ক্যামেলিয়া?
মাহাদ কি তবে তাকে খুঁজেনি?
মনের সকল ভাবনা দূরে ঠেলে দৌড়ে গেটের কাছে আসতেই গাড়িটি মেইন রোডে উঠে সাই সাই করে স্পিড বাড়িয়ে চলে গেলো।
রোড লাইটস এর আলোতে রাস্তা ঘাট দিনের আলোর মতো ফকফকা লাগছে।
ল্যাম্পপোস্টের নিয়ন বাতির আলোর রশ্নি ছাড়িয়ে মাহাদের সাদা রঙের গাড়িটি হারিয়ে গেলো অন্ধকারের শেষ সীমান্তে।
মাহাদের গাড়ির কাছে পৌঁছুতে না পারার ব্যার্থতায় হাটু মুড়ে গেটের কাছে বসে গেলো ক্যামেলিয়া।
হঠাৎই মাহাদের জন্য তার খারাপ লাগতে শুরু করলো।অন্তরটা মাহাদ, মাহাদ করে কাতর হয়ে উঠলো।
চোখের দুকূল ছাপিয়ে মোটা মোটা অশ্রু দানা গড়িয়ে পড়তে লাগলো ভারী বর্ষনের ন্যায়।
নিজের উপর নিজেরই প্রচন্ড রাগ উঠে গেলো তার।
নিজেকে অকাজের ঢেকি,আর নির্বোধ বই কিছুই মনে হলো না ক্যামেলিয়ার কাছে।
মাহাদ ফিরে আসার আগেই হয়তো তার টুসীদের বাড়ি ফিরে যেতে হবে।
চাইলেও আর যখন তখন মাহাদের দেখা পাওয়া যাবেনা।কোনো বাহানা করেও একটু আধটু কথা বলা যাবে না।
আর এভাবেই ধীরে ধীরে ক্যামেলিয়ার ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে দূর দেশে পাড়ি জমানোর বীভৎস সময় এসে দুয়ারে কড়া নাড়বে।
নিজের কৃত এহেন ভুলের জন্য মনে মনে ক্যামেলিয়া এক অবুঝ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো।
"হ্যা সে নিজেকে শাস্তি দিবে।কঠিন শাস্তি।
******
এদিকে হঠাৎই মাহাদ টুটুল কে কঠিন স্বরে ওর্ডার দিলো
"টুটুল গাড়ি ঘোরাও!"
"কেনো স্যার?
অবাকের স্বরে জানতে চাইলো টুটুল।
কোনো প্রশ্ন না করে কুইক গেটের কাছে চলো।।
উত্তেজিত কন্ঠে বলে উঠলো মাহাদ।
টুটুল মাহাদকে সিরিয়াস অবস্থায় দেখে ঘাবড়ে গেলো।তাই বেশি না ঘাটিয়ে মাহাদদের বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়ি ঘুরালো।
মিনিট দশেক পার হতেই মাহতাব চৌধুরীর বিশাল বাড়ির প্রবেশ দ্বারে গাড়ির কড়া ব্রেক কষলো টুটুল।
ক্যামেলিয়া মাথা নিচু করে কেঁদেই চলছে।
পাঁচদিন সে আর মাহাদ কে দেখতে পাবে না।মাহাদের কন্ঠস্বর ও শুনতে পারবে না।
"কেনো সে ওই সময়ে বাইরে বেরোলো?
কান্নার দমকে আর নিজের মধ্যে চিন্তায় বিভোর থাকার কারনে আশেপাশের কোনো শব্দ ক্যামেলিয়ার কর্ণ কুহরে পৌঁছুলো না।
মাহাদের গাড়ি তার নিকটে চলে এসেছে সেটাও সে খেয়াল করেনি।
গাড়ি থেকে দ্রুত নেমে মাহাদ এক প্রকার দৌড়েই ক্যামেলিয়ার কাছে আসলো।
শক্ত মাসেল যুক্ত পুরুষালী হাতের সহায়তায় ক্যামেলিয়ার দুই বাহু ধরে দাঁড় করিয়ে নিজের সাথে শক্ত করে চেপে ধরলো ক্যামেলিয়া কে।
আকস্মিক এহেন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে গেলো ক্যামেলিয়া।
কান্না থামিয়ে সামনে দাঁড়ানো পুরুষটির দিকে তাকিয়ে আরো জুড়ে কেঁদে উঠলো সে।
ক্যামেলিয়ার চোখের জল মুছে দিয়ে দুই চোখের পাতায় মৃদু চুম্বন দিয়ে নিজের সাথে আবার ক্যামেলিয়া কে মিশিয়ে ফেললো মাহাদ।
যেই হুতাশন হৃদয়ের কুঠরীতে দীর্ঘ বছর ধরে জ্বলে জ্বলে হৃদয় কে পুড়ে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো অঙ্গার করেছে তা যেনো নিমিষের ব্যাবধানেই বরফের সাগরে রূপান্তরিত হলো।
ধীরে ধীরে ক্যামেলিয়ার কান্নার তেজ কমে এলো।কিছুক্ষণ পরেই ছোট বাচ্চার ন্যায় শান্ত হয়ে মাহাদের সাথে সেটে রইলো।
কিন্তু নিজের দুটো হাত বাড়িয়ে মহাদকে জড়িয়ে ধরার মতো দুঃসাহস হলোনা তার।
মাহাদ নিজের বুক থেকে ক্যামেলিয়া কে ছাড়িয়ে কপালে গভীর মমতায় গাঢ় চুম্বন একে দিলো।
এরপর এলোমেলো হয়ে যাওয়া বাদামি কোঁকড়ানো চুল গুলো চোখ মুখের উপর থেকে সরিয়ে কানের পিঠে গুঁজে দিয়ে হাত ধরে টেনে বলে উঠলো
"চলো ওই বেঞ্চটাতে গিয়ে বসি।
ক্যামেলিয়া মাহাদকে অনুসরণ করে সাদা রঙের লোহার বেঞ্চে গিয়ে বসলো।
কান্নার চোটে তার চোখ নাক লাল হয়ে উঠেছে।
মাহাদ ক্যামেলিয়া কে বলে উঠলো
"একমিনিট অপেক্ষা করো প্লিজ।একটা জরুরি কল করবো।
ক্যামেলিয়া বাধ্য বাচ্চার ন্যায় সায় জানিয়ে চুপ করে ভূমির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বসে রইলো।
স্নিগ্ধ ঠান্ডা বাতাসে ক্যামেলিয়ার চোখের জল শুকিয়ে দাগ হয়ে চটচটে হয়ে আছে।
******
মাহাদ ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট থেকে ডিপার্চার ম্যানেজার এর কাছে ফোন করলো।
"হ্যালো"
" ক্যাপ্টেন মাহাদ স্পিকিং।"
"টুডে আম নট এবল টু ফ্লাই।
ক্যান ইউ গ্রান্ট মি মোর টু ডেইজ অফ?
ওপাশের উত্তরে মাহাদের ভ্রু কুঞ্চিত হলো।
মাহাদ বিভিন্ন ভাবে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলো তার ছুটিটা বিশেষ প্রয়োজন।
যখন ওপাশের নাছোড়বান্দা ব্যাক্তিকে মাহাদ ভালো ভাবে বুঝাতে অপারগ হলো তখনই রাগে মাহাদের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো।কপালের আর ঘাড়ের শিরা গুলো ফুলে উঠলো।
কন্ঠে খানিক তেজ আর গাম্ভীর্য ঢেলে বলে উঠলো
"আম নট এ স্ল্যাভ টু এনিওয়ান্স কমান্ড,আ উইল গিভ মাই রেজিগ্ন্যাশন লেটার টুমরো।"
বলেই খট করে লাইন কেটে দিলো মাহাদ।
যেই শ্রেয়সী কে একটু চোখের দেখা দেখার জন্য নিজের ক্যারিয়ার ফেলে সাধারণ একজন পাইলট হিসেবে যোগদান করেছে হাসি মুখে !
যখন সেই প্রাণেশ্বরীই তার জন্য চোখের জল ফেলছে সেখানে তাকে কান্না অবনত অবস্থায় ফেলে মাহাদ কারো হুকুম মানতে রাজি নয়।
দরকার হলে মাহাদ ক্যামেলিয়া কে সারাজীবন তার বুকের মধ্যে খানে লুকিয়ে বসে থাকবে।
তবুও সে কারো হুকুমের গোলাম হয়ে ক্যামেলিয়াকে ফেলে দূরে যাবে না।
এদিকে মাহাদের মুখে এমন কথা শুনে ক্যামেলিয়া চোখ তুলে অবাক হয়ে মাহাদের দিকে তাকালো।
"এসব কি বলছে মাহাদ?
"চাকরি কেনো ছেড়ে দেবে সে?
মাহাদ হাসি মুখে ক্যামেলিয়ার দিকে তাকিয়ে আলতো ভাবে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে উঠলো
"তোমার শশুর জীবনে বহুত টাকা কামিয়েছে।এসব দু টাকার চাকরি আমার না করলেও চলবে ক্যামেলিয়া।
"কিন্তু তোমাকে ছাড়া আমার এক সেকেন্ড ও চলবে না।
"মানুষ তার ক্যারিয়ার গড়ে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
"কিন্তু সেই ক্যারিয়ার ই যদি আমার ভালো ভাবে বেঁচে থাকার সকল কারন কেড়ে নিতে চায় তাহলে সেই ক্যারিয়ার দিয়ে কি করবো আমি বলোতো?
মাহাদের এমন কথায় ক্যামেলিয়া আলতো করে মাহাদের হাত জড়িয়ে ধরলো।
মুখে অনেক কিছুই বলতে চাইলো, কিন্তু কিছুই গুছিয়ে উঠতে পারলো না।
শুধু অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো
"আমার কথা বলতে অনেক কষ্ট হয় মাহাদ ভাইয়া।
আমিও সুস্থ হয়ে সকলের মতো স্বাভাবিক লাইফ লিড করতে চাই।
বলেই মাহাদের দিকে অনিমেষ তাকিয়ে রইলো ক্যামেলিয়া।
মাহাদ মুচকি হেসে ক্যামেলিয়ার গালে হাত রেখে বলে উঠলো
"সুস্থ হতে গেলে যে আমাকে বিয়ে করতে হবে"!
একা একা থাকেল কি আর সুস্থ হওয়া যাবে,??
ক্যামেলিয়া মাথা নেড়ে মাহাদের কথায় সায় জানালো।
তাহলে কি করবে তুমি নীল নয়না?
ক্যামেলিয়া মাথা নিচু করে মিনমিন স্বরে জানতে চাইলো
"আমাকে কি করতে হবে ভাইয়া?
মাহাদের কাছে মনে হলো এটাই নিজের মনের ভাব প্রকাশের চূড়ান্ত সুযোগ।
ক্যামেলিয়াকে এই মুহূর্তে ম্যানিয়া স্টেজের মনে হচ্ছে।আচরণ স্বাভাবিক রয়েছে।
যখন তখন পাগল ক্ষেপে যেতে পারে।
পাগল খেপার আগেই ক্যামেলিয়াকে বাগে আনতে হবে।
সকল ভাবনা দূরে সরিয়ে গলার টাই লুজ করতে করতে গলা খাকড়ি দিয়ে মাহাদ বলে উঠলো
"তুমি কি আমার সত্যিকারের বউ হবে ক্যামেলিয়া"?
.
.
.
চলবে..........................................................................