জাওয়াদ দাঁড়িয়ে আছে। সে ভালোবাসে চিংকিকে। কিন্তু চিংকি যে তার প্রতি বিশাল চায়নার প্রাচীর তুলে দিয়েছে। সেটা রুখবে কি করে? চিংকি তাকে ঘৃণা করছে না, অভিমান করছে না, অভিযোগ করছে না। চিংকির জীবনের কোথাও সে নেই। নিজের দোষে সব নষ্ট করে দিয়েছে সে। কি করে আবার সব ঠিক করবে? চিংকি কি বুঝবে তার মনের ব্যথা? ক্ষমা করে ভালোবাসবে কি তাকে?
********
ঝকঝকে রোদ, সতেজ সকাল। উষ্ণরোদ্দুরে দগ্ধ সমীরণে উড়ছে দীপশিখার চুল। আজ খোপা করতে ভুলে গেছে সে। সকালবেলায় গিয়েছিলো নীলক্ষেতে। কিন্তু কাজ হয় নি। বইয়ের দোকানটা খোলা ছিলো না। কিছু নতুন বই পড়বে বলে ঠিক করেছে। যদিও বই হাতে নিলেই জ্বর আসার উপক্রম হচ্ছে। তাই ঠিক করেছে নতুন বইয়ের গন্ধ শুকবে। বইয়ের দোকানের ছেলেটা বলেছিলো তাকে কিছু বই জোগাড় করে দিবে। সময় ঠিক করে দিয়েছিলো। তাইতো এতো তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসা। কিন্তু দোকানটাই খুলে নি। দীপশিখা সেখানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েও ছিলো। ফোন দিলো, অথচ ছেলেটা ফোন ধরলো না। ছেলেটা ভালো আছে তো? কে জানে? দীপশিখা নিস্পৃহ ভঙ্গিতে হাটছে। চুলগুলো মুখের উপর আঁছড়ে পড়ছে। ক্লাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে না আজ। বাসায় যাবে না সে। বাসায় গেলেই মা বিয়ের পাত্রের ছবি দেখানোর কার্যক্রম শুরু করবে। যা মোটেই ভালো লাগছে না। দীপশিখার সাথে নিরুপমা কবিরের সম্পর্কটা খুব অন্যরকম। নীরুপমা কবির খুব চমৎকার উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। কত কত পুরষ্কার যে তিনি পেয়েছেন তার হিসেব নেই। দীপশিখাদের বাসায় একটি কাঠের আলমারী আছে যাতে নীরুপমার সব পুরষ্কারগুলো ঠাসা। ছোট বেলায় সে টেলিভিশনেও অনুষ্ঠান করতো। এতো সুন্দরী গুনী মেয়েটি হুট প্রেমে পড়লো এক বেগুণ পুরুষের। যার কথার আগা মাথা নেই। মোস্তফা তার কাছে কেবল ই বামন। অথচ বামন হয়েও চাঁদ হাতে পেলো। সকলের অমতে একটি নতুন দুনিয়া গড়লো তারা। কিন্তু সেই দুনিয়ার মধ্যে নানা উত্থানপতন। দীপশিখা হবার পর ডাক্তার জানিয়ে দিলেন নীরুপমা আর মা হতে পারবেন না। কারণ তার ইউটেরাস ফেলে দিতে হয়েছে। শরীরের অবস্থাও অধঃপতন ঘটলো। প্রেগনেন্সি ডায়াবেটিস পাকাপুক্তভাবে শরীরে বাসা বাঁধলো। অসুস্থতার জন্য গান ছেড়ে দিতে হলো। মানসিকভাবেই প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়লো নীরুপমা। তার উপর থেকে, দীপশিখার গড়ন নিয়ে নানাবিধ টিপ্পনী, কথাবার্তা—সব মিলেই এক কঠোর এবং জেদী মায়ে পরিণত হলেন নীরুপমা। তিনি নিজের মত মেয়েকে সুখে দেখতে চান। মেয়ের জীবনের সবকিছু তার মতো করেই সাজাতে চান তিনি। সবকিছুতে তার হস্তক্ষেপ হতেই হবে। মোস্তফা তাকে বাঁধা দেন না। কারণ স্ত্রীকে নিজের মানসিক পরিস্থিতির সাথে সর্বদাই লড়াই করতে দেখেছেন। তবে মেয়ের ব্যাপারটায় স্ত্রীর আড়ালেই তাকে প্রশ্রয় দেন। তিনি জানেন দীপশিখা কখনো কিছুই বলবে না।
এবারও তাই হলো। দীপশিখার খালারা ছেলেদের সম্বন্ধ আনছে। নীরুপমা দীপশিখার সাথে তাদের ফর্দ আনছে। ফলে বাবাই তাকে বুদ্ধি দিলেন,
“যত পারিস, ব্যস্ত থাক।”
কিন্তু ক্লাসেও যেতে ইচ্ছে করছে না। এই তো পরশুর কথা, যে ক্লাসমেটরা তার খোঁজ নেয় না তারাই শুধাচ্ছিলো,
“তোমার বিয়ে হয়ে গেছে দীপশিখা? বরের সাথে ছবি দেখি!”
“আমার বিয়ে হয়নি।”
নিস্পৃহ, ক্লান্তভাবে উত্তর দিলো দীপশিখা। মেয়েটি ঠোঁট চেপে হাসলো যেন। পরমুহূর্তেই মেকি করুনা দেখিয়ে বললো,
“মন খারাপ কর না। সুন্দর ছেলেগুলো একটু স্বার্থপর হয়।”
মেয়েটি কি বোঝাতে চেয়েছে বুঝতে পেরেছে দীপশিখা। অন্যসময় হলে কথাটা গায়ে মাখাতো না সে। কিন্তু সেদিন কেনো যেন কথাটা মনে লাগলো সুইয়ের মতো। সেই সাথে তীব্র ব্যথা ছড়িয়ে পড়লো হৃদয়ে। দীপশিখার ভালো লাগে না। ভালো লাগে না যখন তাকে প্রশ্ন করে,
“বিয়েটা কেন ভেঙ্গে দিল?”
ভেঙ্গে দিল? বিয়েটা দীপশিখা নিজে ভেঙ্গেছে। কারণ ঐ মুহূর্তে নিজের আত্মসম্মানের ভারটা বেশি লাগছিলো। কারোর জীবনে অপ্রিয় মানুষ হয়ে থাকার চেয়ে না থাকাই শ্রেয়। সে অসন্দুর হতে পারে, ফেলনা নয়। দীর্ঘশ্বাস ফেললো সে। হঠাৎ পা আটকালো। কিছুসময় তাকিয়ে রইলো। ভার্সিটির সামনে একটি নতুন কেকের দোকান খুলেছে। ছোট কেকের দোকান। কিন্তু নামটা মনে ধরলো দীপশিখার। “Have some sweet” – মিষ্টি একটা নাম। দরজাটা খুলতেই ডোর চিম টুংটাং করে শব্দ করে উঠলো। ভেতরের সাজসজ্জাটাও খুব পরিপাটি। একজন পুরুষ কাস্টোমার আছে। দোকানের ম্যানেজার মেয়েটি হাসি মুখে বললো,
“কিছু লাগবে ম্যাম?”
“আপনাদের কাছে চকলেট কেক হবে?”
“জি। এই যে আমাদের সব আইটেম”
মেয়েটি উত্তর দিলেও তা কানে আসলো না দীপশিখার। কারণ সামনের মানুষটির হঠাৎ উপস্থিতি তাকে অপ্রস্তুত করলো। জাওয়াদ! এখানে? দীপশিখাকে দেখেই জাওয়াদ হাসলো। অনেকক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইলো সে। সেই স্নিগ্ধ হাসি সরলো না। দীপশিখা চোখ সরিয়ে নিলো। তার সময় লাগলো নিজেকে সামলাতে। সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সে দোকানদার মেয়েটিকে বললো,
“আমাকে একটা চকলেট কেক দিন।”
জাওয়াদ কিছুসময় তাকিয়ে রইলো দীপশিখার দিকে। তারপর সাথে সাথে আগ্রহভরে প্রশ্ন করলো,
“দীপশিখা এটা সত্যি তুমি? আমি ভাবছিলাম আমি আবার কল্পনা করছি। তুমি এখানে কি করছো? আজ তোমার ক্লাস নেই?”
দীপশিখা উত্তর দিলো না। দীপশিখার এমন উপেক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিলো সে। সে জানে দীপশিখা তাকে সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাখ্যান করবে। নিজেকে সম্পূর্ন প্রস্তুত করে রেখেছিলো সে। তাই নির্লজ্জ হয়ে আবার শুধালো,
“এখানের চকলেট কেকটা ভালো। অবশ্য আমি রেড ভেলভেট কেকটা খেয়েছি। ওটাও ভালো। ওটা ট্রাই করে দেখতে পারো। আমি ভেবেছিলাম তোমার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ভাগ্যিস করতে হলো না। অবশ্য আমি সারাদিন-ই আজ ফ্রি। ছুটি নিয়েছি অফিস থেকে। বেশ কামাই হয়ে গেছে আমার। তবুও……”
দীপশিখা কোনো উত্তর দিলো না। তার কেকটি নিয়ে টাকা চুকিয়েই হাটা দিল। জাওয়াদ নিজের প্যাকেটটি নিয়ে তার পিছু নিলো। তার পিছন পিছন হাটতে লাগলো সে। দীপশিখা ব্যাপারটি লক্ষ করে বিরক্তিবোধ হলো তার। কিন্তু সম্পূর্ণরুপে জাওয়াদকে উপেক্ষা করার জন্য মনোস্থির করেছে সে। তাই বিরক্তিটা প্রকাশ করলো না। ঠিক তখনই তার হাত টেনে ধরলো জাওয়াদ। আকস্মিক হ্যাচকাটানে দীপশিখার হাত থেকে কেকের প্যাকেটটা পড়ে গেলো। রাগান্বিত স্বরে কিছু বলতেই যাবে সাথে সাথে জাওয়াদ কঠিন স্বরে বললো,
“রাস্তায় না দেখে হাটার স্বভাব তোমার যাবে না? এখন-ই তো মোটরসাইকেলটা গায়ে উঠে যেত।”
দীপশিখা পাশে তাকাতেই দেখলো ক্ষিপ্র গতিতে একটি মোটরসাইকেল তার পাশ দিয়ে চলে গেছে। ফলে যে কঠিন শব্দগুলো জাওয়াদের উদ্দেশ্যে সাজিয়েছিলো সেগুলো গিলে নিল সে। নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো। কেকের প্যাকেটটা মাটি থেকে তুললো। পুরো কেক চটকে গেছে। খাওয়া যাবে না। দীর্ঘশ্বাস ফেললো দীপশিখা। আজকে দিনটা বুঝি খারাপ। কপালের সমান্তরাল ভাঁজগুলো স্বাভাবিক করে হাটতে যাবে তখন আবার হাতটা টেনে ধরলো জাওয়াদ। দীপশিখা তার দিকে তাকাতেই সে বললো,
“আমি জানি তুমি আমার সাথে কথা বলতে চাও না। কিন্তু প্লিজ আমার কথাটা একটু শোন। আমি তোমার জন্যই এতোটা কষ্ট করে এসেছি।”
দীপশিখা তাচ্ছিল্যভরে হেসে বললো,
“আবার আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন? দিন খারাপ যাচ্ছে বলে এখন আবার আমার মুখ দেখতে হবে?”
দীপশিখার প্রশ্নে থতমত খেলো জাওয়াদ। না সে কোনো স্বপ্ন দেখছে না। সে দিন খারাপ যাচ্ছে বলে দীপশিখাকে দেখতে আসেনি। এসেছে মনের ব্যথা কমাতে। মনের ক্ষুধা মেটাতে। মেয়েটি তো জানে না কি ভীষণ মায়ায় সে তাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলেছে। ক্ষণে তাকে দেখার তীব্র নেশা ধরে। তাকে ছুঁতে ইচ্ছে করে, কথা বলতে ইচ্ছে করে। ফলে অপরাধী স্বরে উত্তর দিলো,
“না।”
“তাহলে আমাকে কেন বিরক্ত করছেন?”
“কারণ তোমাকে কিছু বলার ছিলো। কথাগুলো না বললে আমার মন শান্ত হবে না।”
“কিন্তু আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাই না।”
“জানি। তবুও নির্লজ্জের মত এসেছি। জানি কথাগুলো আবলতাবল লাগবে। কিন্তু বিশ্বাস কর দীপশিখা আমি আর পারছি না। আমি একটা বলদ যে নিজের অনুভূতি বুঝতে পারিনি। কিন্তু সত্যি বলছি আমি স্বপ্নের জন্য তোমার সাথে দেখা করতে আসিনি। এসেছি কারণ, কারণ আমার মনের খোরাক হয়ে গেছো তুমি। আমি তোমাকে ভালো……”
কথাটা শেষ করার আগেই থামিয়ে দিলো দীপশিখা। তার চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে। চোখের দৃষ্টিতে প্রখরতা। কঠিন স্বরে বললো,
“আপনার সাথে ভালোবাসা ভালোবাসা খেলার সময় বা ইচ্ছে আমার নেই জাওয়াদ সাহেব। আপনি এসব ফাতরামি অন্য কারোর সাথে করুন প্লিজ। আমাকে ক্ষমা করবেন। আসছি।”
দীপশিখা যেতে নিলেই আবার হাতটা টেনে ধরলো জাওয়াদ। কাতর স্বরে বললো,
“প্লিজ আমার কথাটা শোনো চিংকি। আমি সত্যি বলছি, আমি তোমার জীবনের কেউ না হলেও তুমি আমার অনেককিছু। আমি তোমাকে পাগলের মত দেখতে চাই, তোমার কন্ঠ শুনতে চাই। রাত রাতভর তোমার সাথে অহেতুক কথা বলতে চাই, তোমার হাসিটা দেখতে চাই যা শুধু আমার জন্য ছিলো। প্লিজ চিংকি!”
দীপশিখা শীতলভাবে তার হাত ছাড়িয়ে দিলো। বরফ শীতল স্বরে বললো,
“আমি চাই না। আমি আপনার খেলনা হতে চাই না। বোকার মত আপনার কথাগুলোয় নিজেকে আপাদমস্তক ভাসিয়ে দিতে চাই না। কারণ আমি আপনাকে আর ভালোবাসি না।”
বলেই সে পা বাড়ালো। সে চলে যাচ্ছে। জাওয়াদের মস্তিষ্কে ভাসছে পড়াবাবার কথাটা,
“চিংকির বিয়ে অন্য একজনের সাথে হচ্ছে। সে অন্যকাউকে ভালোবাসছে। আর তুমি তার ত্রিসীমানায় কোথাও নেই। তার জীবনে তোমার অস্তিত্ব নেই। তাই চিন্তাচেতনায় তোমার অস্তিত্ব নেই। তুমি কোথাও নেই।”
এভাবেই কি চিংকির সাথে তার গল্পটির সমাপ্তি ঘটবে? এভাবেই তাদের রাস্তা পৃথক হয়ে যাবে? সে চিংকিকে বোঝাতে পারবে না? বোঝাতে পারবে না সে তাকে সত্যি ভালোবাসে? জাওয়াদ বেপরোয়ার মতো ছুটলো। চিংকির বাহু টেনে ধরে নিজের দিকে ফেরালো। উন্মাদের মত বললো,
“ভুলটা আমার ছিলো। আমি নিজেকে বুঝতে পারিনি। সবসময় ভেবেছি তোমার প্রতি এই অনুভূতিগুলো প্রেম নয়। বোকার মত প্রশ্ন করে গেছি আমি তোমার প্রেমে কেন পড়বো?”
“কেনো? আমার প্রেমে পড়া যায় না বুঝি?”
দীপশিখার প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেলো জাওয়াদ। চিংকির চোখ কাঁপছে। টলমল করছে তা। জাওয়াদ কথাটা এভাবে বলতে চায় নি। সে প্রেমের কথা বলায় পটু নয়। চিংকি তার হাত ছাড়িয়ে দিলো। ধরা গলায় বললো,
“কখনো আমার সামনে আসবেন না আপনি। আপনি একটা জঘন্য মানুষ।”
জাওয়াদ অসহায় চোখে তাকিয়ে রইলো। বুকের মধ্যিখানে চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করলো। চিংকি আবার তাকে ভুল বুঝলো। সে কথাটা সে অর্থে বলতে চায়নি। চিংকি চলে যাচ্ছে। কিন্তু তাকে কোনোভাবেই আটকাতে পারলো না জাওয়াদ। বলতেই পারলো না,
“আমাকে একটি শেষ সুযোগ দাও।”
*********
বসার ঘরে ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে বসে আছে জাওয়াদ। তার সামনে বসে আছে জ্যোতি। মোবাইলে চোখ টিকিয়ে রেখেছে আর রাগে ফুসছে। মুখখানা লাল হয়ে গেছে ওর। একটু পর পর গালমন্দ করছে,
"জাউরা কোথাকার! পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়। ছাগল কোথাকার!"
তার রুষ্ট কন্ঠে ঘাবড়ালো জাওয়াদ। ভীত স্বরে বললো,
"কাকে গাল্লাচ্ছিস!"
"এই গাধা নায়কটাকে। কি শয়তান জানো? এতোকাল যখন নায়িকা তাকে ভালোবেসেছে, সে নিষ্ঠুরভাবে তাকে মানা করেছে। এখন যখন নায়িকা মনোঃস্থির করে ঠিক করেছে সে এই ছেলেকে ভুলে যাবে তখন শয়তানটা তাকে বলছে ভালোবাসি। চিন্তা কর কি অপদার্থ, অথর্ব। লেখিকা যদি এই শয়তানের সাথে মিল দেয় আমি লেখিকাকে বয়কট করবো। লেখিকা নায়িকার জন্য একটা ভালো ছেলে আনবে, তার সাথেই বিয়ে দেবে। তখন এই গাধার গাধা কাঁদবে আর বুঝবে কত ধানে কত চাল! বেদ্দপ একটা।"
জাওয়াদ কেশে উঠলো। তার মনে হলো জ্যোতি তাকে বলছে। সে অসহায় স্বরে বললো,
“বেচারা হয়তো বুঝতে পারেনি।”
“বুঝবে না কেনো? প্রেম কি ফিজিক্সের সূত্র না কি ত্রিকোনমিতির কোনো অংক যে বুঝবে না। যখন সময় ছিলো বুঝেনি। এখন ঢং করছে। যতসব। থাপড়ানো দরকার। পাজি কোথাকার।”
জাওয়াদ মাথা চুলকালো। হ্যা, দোষ সম্পূর্ণ তার। সব শাস্তি সে পেতে রাজি। কিন্তু কোনোভাবেই চিংকিকে হারাতে পারবে না। মোটেই নয়। কিন্তু কি করবে? হঠাৎ একটা বুদ্ধি এলো।
********
জেলের সেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে জাওয়াদ এবং পাভেল। পড়াবাবা বিরক্ত স্বরে বললেন,
“কি চাই?”
.
.
.
চলবে.......................................................................